মোঃ ফারুক, পেকুয়া:

পেকুয়ায় ২০১৮ সালের এসএসসি’র অনিয়মিত পরিক্ষার্থীর প্রশ্নে পরিক্ষা দিল নিয়মিত ৪০ পরিক্ষার্থী। পরিক্ষা চলমান অবস্থায় পরিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বিভ্রান্তির কথা কেন্দ্র সচিবকে অবগত করলেও সুরহা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগও করেছেন অংশ নেওয়া পরিক্ষার্থীরা। শনিবার পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির বাংলা পরিক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রশ্নে বিভ্রান্তিতে পড়া পরিক্ষার্থী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম, রমিজ উদ্দিন, মোঃ মামুন, সাহেদুল ইসলাম বলেন, আমরা পেকুয়া মডেল জিএমসি সরকারী বিদ্যালয়ের থেকে এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ( কেন্দ্র নং-০২)।

১০১ কেন্দ্র পরিক্ষায় আমরাসহ ৪০ শিক্ষার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয় ২০১৮সালের সিলেবাস অনুযায়ী। এতে আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক হল পরিদর্শকের মাধ্যমে হল সচিবকে অবহিত করি। তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অামরা পরিক্ষাটি বাতিল চাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে বলে অামার ধারণা। অনিয়মিত পরিক্ষার্থীদের প্রশ্নে অামার স্কুলে নিয়মিত বেশ কয়েকজন পরিক্ষা দেয়ায় ভাল রেজাল্ট নিয়ে অামরা শঙ্কিত। বিষয়টি অামরা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।

এব্যাপারে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব অাবুল হাশেমের মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাসান বলেন, প্রশ্ন বিভ্রান্তির ঘটনাটি সত্য। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তারা বলেছেন, ৪০ পরিক্ষার্থীর খাতাগুলো অালাদাভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহাবুব হাসান বলেন, ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অামি পরিক্ষার্থীদের অাশ্বস্ত করতেছি তাদের কোন ক্ষতি হবেনা।