মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী:
কাঁচা ডলু (মুলি বাঁশ) বাঁশের ভেতর দুধ দিয়ে দই তৈরী করা-সেটা এ অন্ঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার একটা পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতি। মহিষ ও গরুর দই। যেটাকে আমরা ‘বাঁশের দই’ বলে সচরাচর চিনি। কিন্তু এবার বাঁশের দই এর মতই বাঁশকে পুড়িয়ে বিরিয়ানি। কাঁচা ডলু বাঁশের ভেতর বিরিয়ানি তৈরীর সব মিক্স উপাদান অর্থাৎ চাল, মাংস, মসল্লা ইত্যাদি মিশ্রণ দিয়ে বাঁশের মুখ এঁটে দেয়া হয়। তারপর জলন্ত কয়লার আগুনে বাঁশ গুলো পুড়ানো হয়। নির্দিষ্ট একটা সময় পুড়ানোর পর বাঁশের ভেতর বিরিয়ানী খাওয়ার উপযোগী হয়। পুড়ানোর পর বাঁশের একটি অংশ খুলে ফেলে বিরিয়ানি পরিবেশন করা হয়। এ ধরনের বাঁশের বিরিয়ানি তৈরীর ভিন্নতা এঅন্ঞ্চলের খাদ্য সংস্কৃতিতে নতুন একটা সংযোজন। অপূর্ব স্বাদ যেন মুখে লেগে থাকে। অপূর্ব স্বাদের ডেক্সীর পরিবর্তে বাঁশের তৈরী এই বিরিয়ানি নিয়মিত তৈরী করছে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার দি হোটেল ডিসকভারি এর টং মা হং রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটি এই বিরিয়ানি’র নাম দিয়েছে “বাঁশের বিরিয়ানি”। চলুননা থানচি গিয়ে বাঁশ খেয়ে আসি। এ স্টোরি টা পড়তে হয়ত জিহ্বায় লালা চলে এসেছে। তাহলে থানচি গিয়ে বাঁশ খেতে নাপরলেও দেরি নাকরে নিজেরাই বাসা-বাড়িতে এ মাজাদার রেসিপি টা তৈরী করে বিরিয়ানির ভিন্ন স্বাদ নিতে পারেন।
বাঁশ খেতে ভারি মজা!
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
