সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহর কৃষকলীগের সভাপতি এরশাদুজ্জামান সুমনের দায়ের করা একটি মামলায় আসামী হয়েছেন একই সংগঠনের ১০ ওয়ার্ড সভাপতি তারেক মাহমুদ (৩২)। তিনি পৌরসভার মোহাজেরপাড়ার শাহ আলমের ছেলে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন মারধরের অভিযোগে সদর মডেল থানায় মামলা করেন সুমন। যার মামলা নং-৬/৬।
ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে ২ নং আসামী তারেক মাহমুদকে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান।
এদিকে তারেককে মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন স্ত্রী রিনা আকতার।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামীর সাথে এরশাদুজ্জামান সুমনের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট আছে। হিসেব নিকেশের বনিবনা না হওয়ায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী বানিয়েছে সুমন।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যবসায়িক শেয়ারের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে এরশাদুজ্জামান সুমনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তারেক। তখন থেকে ক্ষিপ্ত হন সুমন।
একটি সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করার অভিযোগে এশরাদুজ্জামান সুমনকে ভোটকেন্দ্রে মারধর করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যা স্থানীয়রা প্রত্যক্ষ করেছে। অনেকে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে রেখেছে।
এ ঘটনায় সুমন বাদি হয়ে উল্টো সাধারণ জনতাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা করেছে বলে তারেকের স্বজনদের দাবী।
এদিকে, দলের একজন ওয়ার্ড সভাপতিকে আটকের খবরে নিন্দার ঝড় উঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ তার ফেসবুকে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার শহর কৃষকলীগের ১০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কৃষক লীগের নিবেদিত প্রাণ তারেক মাহামুদ তারেককে কি কারণে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে? কি তার অপরাধ?
শহর কৃষকলীগের সভাপতি এরশাদুজ্জামান সুমনকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দলের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মারধর করেছে। ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে নিজ দলের ওয়ার্ড সভাপতিকে আসামী করে মিথ্যা মামলা করে।
শহিদুল্লাহ বলেন, আমি জেলা কৃষক লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের কাছে জানতে চাই, নিজ নিজ দলের মাঝে ব্যক্তিগত মতবিরোধ থাকতেই পারে। তার মানে এই নয় যে অাত্নঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলার আসামী করে জঘন্যতম হিংসাত্নক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। জঘন্য কাজের জোর প্রতিবাদ এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
অনতিবিলম্বে এই জঘন্যতম কাজের বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করে দলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করার জোর দাবী জানাচ্ছি।