প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
২৩ ডিসেম্বর পুলিশ কর্তৃক আটক জেলা বিএনপির সদস্য, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শাহপরীর দ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন সভাপতি ইসমাঈল মেম্বার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম নূরী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে সাজানো ও পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে দু’টি মামলা দায়ের করেছে। এই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ইসমাঈল মেম্বারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম নূরী বলেন, আমার স্বামী একজন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা মৃত হাজী নজির আহামদ সাবরাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই রক্তে রাজনীতি মিশে আছে। তিনি (ইসমাঈল মেম্বার) মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতি করেন। সারাটা জীবন তিনি মানুষের সেবা করে এসেছেন। তাই মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসে। এর প্রতিদান স্বরূপ তাকে দুইবার মেম্বার নির্বাচিত করেছেন। তিনি কিন্তু তার অপরাধ তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন। এই কারণে বিভিন্ন সময় তিনি আওয়ামী লীগ কর্তৃক নানাভাবে নির্যাতি হয়েছেন। বেশ কয়েকটি সাজানো মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন। সব মিলে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছেন।
ফাতেমা বেগম নূরী আরো বলেন, পূর্বের সব রাজনৈতিক মামলা তিনি জামিন থাকলেও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বিনা অপরাধে লবণমাঠে কাজ করা অবস্থা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে অত্যন্ত জঘন্যভাবে দুই হাজার ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আটকের সময় দেখানো হয়েছে রাত ৮টা এবং স্থান দেখানো হয়ে প্রধান সড়ক। আসলে সবগুলোই সাজানো এবং পরিকল্পিত। তার বিরুদ্ধে অতীতে ইয়াবার মামলাতো দূরের কথা, কোথাও অভিযোগ নেই। ইয়াবার সাথে তার দূরতমও কোনো সংশ্লিষ্টতা কোনো দিন ছিলো না। নির্বাচনকে কেন্দ্র নৌকার প্রার্থীর লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুলিশ তাঁকে বিনা অপরাধে আটক করে পরে তাদের পরিকল্পনা মাফিক ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের সাজানো মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ। এই অন্যায়ের প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।