সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। অান্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে কোস্ট ট্রাস্ট এবং সিসিএনএফ এর উদ্যেগে আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
৯ ডিসেম্বর বিকালে উখিয়া সরকারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের হল রুমে উক্ত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
উখিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, উখিয়া উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. ফকরুল ইসলাম। শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সভার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সিসিএনএফ এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, পরস্পরের মধ্যে সহানুভূতি এবং সম্প্রীতি তৈরী করতে পারলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, অন্যথায় সম্ভব নয়। উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে তিনি মানবাধিকারের গুরুত্বপূর্ণ ধরাগুলো পড়ার অনুরোধ জানান। তিনি স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সবাইকে মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানান।
উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাসুদ ভূইয়া বলেন, উখিয়া এবং টেকনাফের স্থানীয় জনগনের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লংঘিত হচ্ছে। স্থানীয় জনগনের মানবাধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের এবং এনজিওদের। তিনি মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য সরকার এবং এনজিওদেওর আরো বেশী সক্রিয় হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
উখিয়া সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, গত ১৪ মাসে উখিয়া এবং টেকনাফের মানুষ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। স্থানীয় মানুষরাই রোহিঙ্গাদেরকে প্রথম আশ্রয় দিয়েছে এবং খাদ্য বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা দিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে স্থানীয় জনগনের মৌলিক অধিকার গুলো লংঘিত হচ্ছে তত বেশী। অন্যদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নিজেদের অধিকার লংঘতি হলে মানবাধিকার কখনও প্রতিষ্ঠা হবেনা বলে তিনি জানান।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহীন চৌধুরী বলেন, উখিয়া এবং টেকনাফে যে সকল এনজিওরা কাজ করছে সকল এনজিওদের উচিৎ হবে মানবাধিকার বিষয় নিয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্টির সাথে আলোচনা করা এবং তাদের ক্ষোভ গুলো প্রশমন করার চেষ্টা করা। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্টির ক্ষোভ গুলো প্রশমন করতে না পারলে মানবাধিকার লংঘিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিবিদ মো: আনিসুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মো: হাবিবুর রহমান প্রমুখ। পুরো আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের ইউনিসেফ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জান্নাতুল ফেরদৌস। এতে কোস্ট ট্রাস্ট এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, নির্মল পাল, তৌহিদুল আলম, নুর মোহাম্মদ, রমিজ উদ্দিন, জিয়াউল করিম চৌধুরী, কামাল হোসেন, স্থানীয় এনজিও হেলপ কক্সবাজরের তিনজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
শেষে শিক্ষার্থীদের নিকট মানবাধিকার সংক্রান্ত পুস্তিকা বিতরণ করা হয় এবং মানবাধিকারের ধারার মূল বিষয় গুলোর উপর প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যক মানবাধিকারের ধারা বলতে পারায় প্রথম স্থান অধিকার করেন- অত্র স্কুলের ছাত্রী সানিয়া জাহান রিমা, ২য় স্থান অধিকার করেন- মাইশা মস্তুরা মহিমা এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন- মোস্তাকিন জান্নাত। শেষে উপস্থিত অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।