মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :


কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলা থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামাতের সেক্রেটারী জিএম রহিমুল্লাহ।
সোমবার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের ১৯ নং আদালতে শুনানী শেষে তাকে জামিন দেন বিচারক ওবাইদুল হাসান ও এফএম কুদ্দুস জামান।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এড. ফরিদ উদ্দিন খান এবং এড. রিদোয়ানুল করিম। এই মামলায় জিএম রহিমুল্লাহ এজাহারভুক্ত আসামী না হলেও বর্ণনায় তাঁকে ঘটনার পরিকল্পনাকারী, পরামর্শদাতা ও হকুমদাতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর ভোর ৪.৫০ টায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন সংগঠিত হয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মিছিল, সরকার বিরোধী শ্লোগান ও টমটমে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে মামলা (নং-৮৪) করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন চন্দ্র মজুমদার। মামলায় এজাহারনামী ১৯ জনের বাইরে আরো ১৩০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রাখা হয়। মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সর্বোপরী একটি ‘গায়েবী মামলা’ উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। মামলাটি প্রত্যাহারের দাবীও করে তারা।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান জানান, মামলার এজাহারে জিএম রহিমুল্লাহর নাম না থাকলেও আরজিতে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সে কারণে পরবর্তী হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে আদালতের শরণাপন্ন হন জিএম রহিমুল্লাহ। বাদির আবেদন বিবেচনা করে আগাম জামিন দেন বিচারক।
এদিকে, কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত জিআর-১৬৫/১৩ ‘কোয়াশমেন্ট’ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের ১৮ নং আদালতে আবেদন করেন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ওই মামলার আসামী মাওলানা আব্দুল গফুর। বাদির আবেদন আমলে নিয়ে বিচারক আব্দুল আওয়াল ও বিসমা দেব চক্রবর্তির বেঞ্চে গত ৪ নভেম্বর আংশিক শুনানী করে মামলাটি ‘পেন্ডিং’ তালিকায় রাখা হয়। পরবর্তী শুনানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিআর-১৬৫/১৩ মামলা সংক্রান্ত কোন ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ওই আদালতের বিচারক আব্দুল আওয়াল ও বিসমা দেব চক্রবর্তি। আবেদনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। জিআর-১৬৫/১৩ নং মামলায় জামায়াত নেতা জিএম রহিমুল্লাহ সহ ১২৮ জন আসামী রয়েছে।