মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দিনদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এ রোগে আবু ইউসুফ জয় নামের এক ছাত্রলীগ নেতা মৃত্যুর পর আরো একজন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তিনি হলেন চকরিয়া পৌর শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন ধলু। তাকে সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম চাদগাঁও আবাসিক ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভার্তি করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ধলুকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এর আগেরদিন রবিবার সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় আবু ইউসুফ জয় নামের চকরিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি এবং তার বাবা নুরুল ইসলাম একসঙ্গে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে স্থানীয় জমজম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়। অবস্থার অনবতি হওয়ায় চমেক হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় মারা যান জয়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, গত দুইমাসে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে চকরিয়া পৌর শহরসহ উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে। তৎমধ্যে অন্তত তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ডেঙ্গু রোগী বলে শনাক্ত করা হয়েছে চকিৎসালয়গুলোতে। অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা পেয়ে ভাল হলেও অনেকে কাতরাচ্ছে চকরিয়াসহ চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালের বেডে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেড়েছে। এই রোগের প্রতিকারে নির্দিষ্ট কোন ভ্যাকসিন নেই। তবে প্রথমপর্যায়ে শনাক্ত হলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গুর ভাইরাস যখন পুরো শরীরে ছড়ায় তখন প্রচণ্ড জ্বর এবং জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার পাশাপাশি রক্ত বেরুতে থাকে।
মানুষের সচেতনতা ও এরোগের ভাইরাস বহনকারী মশা যাতে জন্মাতে না পারে বাড়ির আশপাশের পরিবেশ পরিছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।