মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী’র নিবন্ধন বাতিল করেছে। ফলে জামায়াত এখন নিজ দলের নামে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা।তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী সহ ২৫ জনের হাইকোর্টে ২০০৯ সালে দায়ের করা ৬৩০/২০০৯ নং রীট মামলায় বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি কাজী রেজাউল হককে নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেন্ঞ্চের সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের রায়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত ইসলামী আপীল বিভাগে আপীল করলে নিবার্চন কমিশন এ বিষয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ের পূর্নাঙ্গ কপি সরবরাহ নিয়ে নির্বাচন কমিশন দেখতে পায়, আপীল বিভাগ জামায়াতের আপীল গ্রহন করেছে, কিন্তু হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি। তাই নির্বাচন কমিশনের লিগ্যাল এডভাইজারদের মতামত নিয়ে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সভায় তোলা হলে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে এবং এ বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন করা হয়। পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার মাধ্যমে সারা হয়। ২৯ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহামদের স্বাক্ষরে কমিশনের ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিতিত্ব অধ্যাদেশের ৯০(এইচ) ধারা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারী করে জামায়াত ইসলামীকে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর কমিশন থেকে প্রদত্ত ১৪ নং নিবন্ধন চুড়ান্তভাবে বাতিল করেছে।