কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া:
সারাদেশে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও দূরপ্লাল্লার বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকলেও এর কোন প্রভাব পড়েনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত শতাধিক এনজিও’র গাড়ীর বহর দেখে বুঝে উঠার কোন সুযোগ নেই যে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এমন অবস্থা দেখে স্থানীয়রা বলছে তারা আলাদা কোন দেশে বসবাস করছে।
সোমবার দুপুরে উখিয়া কলেজ এলাকায় শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়কে দেখা গেছে ক্যাম্প ভিত্তিক কর্মরত এনজিও গুলোর গাড়ীর বহর। উখিয়া-টেকনাফ সড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও ক্যাম্পে কর্মরত শতাধিক এনজিও’র গাড়ী চলছে নির্বিঘেœ। সড়ক ও উপ-সড়ক গুলোতে মাইক্রোবাস, সিএনজি, টমটম চলতে দেখা গেছে। এদিকে পুরো দেশের অচলাবস্থা বিরাজ করলেও উখিয়া-টেকনাফের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে আলাদা কোন দেশে বসবাস করছে এমনটি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে ঢাকা, চট্টগ্রামগামী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনার্স, মাষ্টার্স পরীক্ষার্থী ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হারুনুর রশিদ। এ প্রসঙ্গে কোটবাজার-উখিয়া ফোর ষ্টোক সিএনজি মালিক ও চালক সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি রুহুল আমিন খাঁন বলেন, দেশে চলমান ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি উখি
য়ায়। এ পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। চালকরা নিজেদের জীবন জীবিকার তাগিদে রাস্তায় গাড়ী চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক চালক বলেছেন, আমরা গরীব মানুষ। সিএনজি চালিয়ে সংসার চালায়। পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। তবে টিভিতে দেখছি ঢাকা শহরে চালকদের মুখে কালি দিচ্ছে। এটা কোন ধরণের আন্দোলন। এটা কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চললেও উখিয়ায় জনজীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক শতাধিক এনজিও দুই শতাধিক প্রোগ্রামে কাজ করছে। তারা প্রতিদিন গাড়ী বহরে ক্যাম্পে যাতায়াত করছে। তাছাড়া আজকেও ৪০টির অধিক এনজিও গাড়ী নিয়ে এসে সাথে মিটিং করেছেন। উল্লেখ্য ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাস চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা সড়ক পরিবহন আইন পাস করে। কিন্তু ওই আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সেগুলো বাতিল করার দাবি তুলেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।