সংবাদদাতা:
রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ করলিয়া মোরা এলাকায় গত ২৭ অক্টোবর রাত ২ টার সময় ২ বসত বাড়িতে ডাকাতি এবং বাড়ীর পার্শ্ববর্তী জুনাইম্মার ঘোনা এলাকায় ধান ক্ষেত পাহারা দেওয়ার সময় টংঘর থেকে ২ অপহৃত কৃষককে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার করেছে তাদের পরিবার।
উদ্ধারকৃতরা হল দক্ষিণ করলিয়া মোরা এলাকার নজির আহাম্মদের ছেলে ছৈয়দুল হক (২০) তার চাচা মৃত মোজাহের আহাম্মদের ছেলে নুর আহাম্মদ (৪০)।
এ বিষয়ে রামু থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল মনছুর জানান আমরা দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে রশিদ নগর আদর্শ গ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করেছি তাদেরকে কিছু তথ্যের জন্য পুলিশ হেফাজতে রেখে বিকাল ৪ টার সময় ভিকটিমের পরিবারের কাছে ২৮ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়
নজির আহমদ জানান, সকাল ২৭ অক্টোবর ৭ টার সময় ভিকটিম ছৈয়দুল হকের মোবাইল থেকে প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং পুলিশকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে লাইন কেটে দেন। পরে আমি পুলিশের সাথে সারাদিন ছিলাম পুলিশ আমাকে বলে তারা অপহরণ হয়নি সব অভিনয়, থানায় কোন অভিযোগ করতে হবেনা বাসায় চলে যাও , পরে প্রশাসনের আশা ছেড়ে দিয়ে আমাদের আত্নীয় স্বজন মিলে জমি বন্ধক দিয়ে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রাত ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় উদ্ধার করেছি , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় জানান কিন্তু তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পানির ছড়া এক আত্মীয়ের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া রত অবস্থায় ঈদগড়ের এ এসআই মোর্শেদুল আলম ফোন দিয়ে এসে তাদের কে লাথি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি আরও জানান ডাকাতির সময় ঈদগড় এ এ এসআই মোর্শেদুল আলম কে ফোন করেছি কিন্তু সে ঘটনাস্থলে রাতে আসেননি তিনি আসেন সকাল ৯ টার সময়
আবদুল করিম ও লুতু মিয়া জানান, রাত প্রায় ২টার দিকে অস্ত্রধারী ১২/১৫ জনের একটি ডাকাতদল প্রথমে তাদেরকে টংঘর থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নামিয়ে আনে। পরে উল্লেখিত ২জনকে টংঘর থেকে হাত পা বেঁধে আটক করে। পরে আক্তার হোসেন ও ছৈয়দ হোসেনের বাড়িতে লুটপাট চালায়। তাদের হাতে ৩ টি লম্বা বন্ধুক ও ও কিরিচ দেখা গেছে ।তারা আরো জানান, লুটপাট শেষে ১ কিলোমিটার দুরে নিয়ে গিয়ে তাদের ২জনকে ছেড়ে দিলেও ছৈয়দুল হক ও নুর আহমদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।