কক্সবাজার স্থানীয় দৈনিক কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ গুলো আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই-তিন দিন পূর্বে বিবৃতি দিয়েছে। উক্ত বিবৃতির সারমর্ম নিয়ে প্রতিবাদ দিয়েছি। অদ্য ২৭-১০-২০১৮ইং তারিখ স্থানীয় দৈনিক দেশ-বিদেশ, দৈনিক কক্সবাজার এ আবারো বিবৃতি দেখে আমি মর্মাহত হয়ে অত্র বিবৃতির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মৃত হাজী মনির আহমদের ৫ পুত্র এবং ১ মেয়ে হয়। আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পূর্বে ১৯৮০ সালে পিতা-মাতার জীবিত অবস্থায় যৌথ পরিবার হতে ৫ পরিবারে বিভক্ত হয়। আমাদের বাবা-মার অর্জিত সম্পত্তি বাবা-মার উপস্থিতিতে আমাদের সম্পত্তি ভাগ করিয়া শান্তি পূর্ণভাবে জীবন যাপন এবং পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করিয়া আসতেছি। তার মধ্যে আমি এম. মমতাজুল হক ১৯৮১ সালের ৩ মে সৌদি আরবে রুজি রোজগারের জন্য গমন করি এবং দীর্ঘ ৮-৯ বছর প্রবাসী জীবন যাপন করে চলে আসি। তৎমধ্যে আমাদের পিতার বহলতলী মৌজার আব্বার নিজ নামীয় এম.আর. আর. খতিয়ান ১১১/৪০, ১১১/৯১, ১১১/৫৩ এই তিন খতিয়ানে বি.এস. খতিয়ান এর মালিক আমার পিতা হাজী মনির আহমদ। সুবিধা মতে হাজী মনির আহমদ ১১১/৪০নং বি.এস. খতিয়ানে -৩২৩। অপর খতিয়ান ১১১/৯১ মনির আহমদ নাম এর স্থলে ৫পুত্রের মধ্যে শুধু মাত্র বড় ছেলে সুলতান আহমদ, বদিউর রহমান, সৈয়দুর রহমানের নামে লিপিত হয়। আমরা দুই ভাই এক বোন- মমতাজুল হক, আবদুর শুক্কুর, দিলদার বেগম এর নাম বাদ পড়ে যায়। আপন বড় ভাই সুলতান আহমদ তখন জয়গা জমির পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন। উনি আমাদেরকে উক্ত ৩৭২,৩৭৩নং খতিয়ান আমাদের নামে করিয়া দিবেন বলেন। প্রয়োজনে রেজিষ্ট্রি করিয়া নাম ভাঙ্গিয়া দিবেন এই মর্মে অঙ্গিকার নামা লিখিয়া রাখেন এবং প্রয়োজনবোধে রেজিষ্ট্রি দিতে বাধ্য থাকিবেন। তৎমধ্যে উক্ত খতিয়ান দুটির বিরুদ্ধে এলাকার অন্যান্য লোকের কক্সবাজার জজ কোটের ২২৩/৩ ইংরেজী মামলা থাকায় বি.এস/ খতিয়ান সংশোধনী মামলা করিতে বিলম্ব হয়। অর্থাৎ বি.এস ৩৭২,৩৭৩ খতিয়ান ছৈয়দুর রহমানের একক নয়। উক্ত দুই খতিয়ানের মালিক হাজী মনির আহমদের ৫ পুত্র ও ১ মেয়ে। বি.এস. ১৯২ খতিয়ানের জমি ছৈয়দুর রহমানের একার নয়। উক্ত খতিয়ানের অপর অপর শরিকদার হয়তে মমতাজুল হক, আবদুর শুক্কুর সহ ৫ভাইয়ের খরিদা জমি। বি.এস. ৩৩১নং খতিয়ানের জমি অপর অপর খরিদদার হইতে আমাদের খরিদা জমি হয়। আমরা ৫ভাইয়ের নামে সৈয়দুর রহমানের একার নয়। ২৫৩ পাত ১খতিয়ানের জমি সৈয়দুর রহমানের একার সম্পত্তি নয়। আমাদের যৌথ সম্পত্তি। উক্ত খতিয়ানে এলাকার ৩০-৪০ জন লোক শরিকদার হইতে খরিদ করিয়া সবাই মিলে মিশে আছি। ইহার পতে বিবৃতি দেওয়া ৯৬৬নং ১০৫৮নং খতিয়ান জমাভাগ আমরা ৫ ভাইয়ের যৌত খরিদা খতিয়ান। ৫২৯, ৫৯২ উক্ত খতিয়ান যৌথ বি.এস. ৩৪৫নং খতিয়ান হাজী মনির আহমদের ওয়ারিশগণ দখলে আছে। ১৬৩নং খতিয়ান হাজী মনির আহমদের নামে থাকিলেও বহলতলী বিভিন্ন ৫০-৬০ জনগণের নামে খতিয়ান হওয়ায় বহলতলীর বিভিন্ন লোক দখলে আছে। হাজী মনির আহমদের কোন ওয়ারিশ এখনো পর্যন্ত দখলে নাই। বর্তমানে উক্ত খতিয়ানের সংশোধনীর মামলা কক্সবাজার আদালতে চলছে। ১৩৩ নং খতিয়ান বিষয়ে কক্সবাজর জজ আদলতে অপর মামলা ৮১/০৩ ইং সবশেষ রায় ডিগ্রি মতে ১৩৩নং খতিয়ানের জমি নিয়ে ৯৯২নং জমা ভাগ খতিয়ান সৃজিত হয়। যাহার অপর শরীক্দারদের সাথে এওয়াজ করিয়া হাজী মনির আহমদ ওয়ারিশগণ একসাথে বি.এস. ৫০৪৯নং দাগের দখলে আছে। ৩৮৮ নং মনির আহমদের কোন খতিয়ান বর্তমানে বহলতলী মৌজায় বিদ্যমান নাই। তাহা ভূয়া ও ফেরারী প্রতারণা মূলক। ৩৪৫ নং আমাদের পিতা মনির আহমাদের নাম আছে। অপরাপার ৩০/৩৫ শরীকদারগণ আপোশে দখলে অন্য লোকও আছে। হাজী মনির আহমদ নামের রেকর্টভূক্ত জমির মধ্যে এম.আর. আর, খতিয়ান নং ১১১/৪০ তৎবি.এস. ৩২৩নং খতিয়ানের জমি ৬.৫৭ শতাংশ
এম.আর. আর. ১১১/৯১ তৎবি.এস. ৩৭২. ৩.৭৫ শতাংশ শতক, এম.আর.আর খতিয়ান ১১১/৫৩ তৎ বি.এস. ৩৭৩ ৪.০০একক, মোট মনির আহমদের সম্পত্তি ১৪.৩২ একর, তার মধ্যে মনির আহমদ জীবীত অবস্থায় ৩২৩ খতিয়ান হইতে ৮০ শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের ৫ভাইয়ের খরিদা জমি ৯৬৬নং খতিয়ানের ২.৬০শতকক , ১০৫৮খতিয়ানের ২.৭৫ শতক, ৫২৯নং খতিয়ানের ২.৮০শতক, মোট খরিদা জমি ৮.১৫ শতক, আমাদের পিতা মনির আহমদের জমি ৩২৩নং খতিয়ারে ৬.৫৭ শতক, ৩৭২ নং খতিয়ানে ৩.৭৫, ৩৭৩ নং খতিয়ানে ৪.০০ শতক, মোট = ৪.৩২ শতক, ১৩৩ নং খতিয়ানে ১.৬০ জমাভাগ ৯৯২, ৩৪৫ নং খতিয়ানের ৫২৮ জমাভাগ, ৪.২৪ একর, মোট ২০.১২ শতক, ৫ছেলে ১মেয়ের মধ্যে পায় = ছেলে ৩.৬৫ মেয়ে ১.৮৩ শতক, ৫ভাইয়ের যৌথ খরিদা জমি, ৯৬৬নং খতিয়ান ২.৬০ শতক, ১০৫৮ খতিয়ান ২.৭৫ শতক, ৫২৯ খতিয়ান ২.৮০ শতক, মোট ৮.১৫ শতক, প্রতি ভাই পায় বি.এস. ১৯২ নং খতিয়ান
এম.আর. আর. ১০১/৩ ২.০০শতক, বি.এস. এস. ৩৩১, এম.আর. আর ৫২/২৭ ১.৬০ শতক, মোট =১১. ৭৫ শতক
কিছমত ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমি, হাজী সুলতান আহমদ ৩.৬৫ শতক, বদিউর রহমান ৩.৬৫, ছৈয়দুর রহমান ৩.৬৫, এম. মমতাজুল হক ৩.৬৫, হাজী আবদুর শুক্কুর ৩.৬৫, দিলদার বেগম ১.৬৩, খরিদা মোলে প্রাপ্ত, প্রতি ভাই ২.৩৪ শতক, ওয়ারিশ মোলে, ছৈয়দুর রহমান ৩.৬৫, খরিদা মুলে ২.৩৪, বেনামী দখল ৬১ শতক, ছৈয়দুর রহমান ওয়াশী ও খরিদা মুলে জমি পাবে ১৬ কানি ৬০ খরা।
উল্লেখ যে, খুটাখালী মৌজার বি.এস- ৩৯৫ নং খতিয়ান ও ২৮৬নং খতিয়ান হইতে আমাদের খরিদা জমি ১৯৮৫ ইং হইতে খরিদ করিয়া যার যার অংশে দখলে আছি। তবে ২৮৬নং খতিয়ানের জমি ১৯৮৫ইং আমরা খরিদ করার পর ২৮৬নং খতিয়ানের অন্যান্য শরিকদার গণ হকসহ মামলা করে উক্ত খতিয়ানের জমি আদালতে রায় মতে ডিগ্রি পাইয়া হকসহ মামলার শরিকদারগণ জমি দখল করে নেন। এখানে আমাদের কোন ভাইয়ের দখলীয় জমি নাই। থাকিবার কথা নয়। ৩৯৫নং খতিয়ান আমরা ৫ ভাই যে কিছু অংশ খরিদ করিয়াছি। তাহা আপোস দখল মতে আমরা ৫ভাই দখলে থাকা অবস্থায় যার যার দলিল মতে জমি ভাগ খতিয়ান সৃষ্টি করে দখল রত আছি। সৈয়দুর রহমানের ওয়ারিশ গণ তাহাদের পিতার দখল ,আনিছুর রহমান ও অন্যান্য ওয়ারিশগণ ও আবদুর শুক্কুর ৯০০নং ও ৯২৫নং খতিয়ান সৃজিত করিয়া ভোগ দখলে রত আছে। আমিও আমার দখলমতে ক্রয়কৃত দলিল ৩৯৫নং খতিয়ানের প্রাপ্ত জমি দখল মতে ২৩৭৩নং দাগের অংশ ও অপার পর জমিসহ আইনগত খতিয়ান সৃজন করে দখলে আছি। আমি আমার অবাধ্য ভাতিজার এই ষড়যন্ত্র মূলক, মানহানিকর মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উক্ত মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সর্বমহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি সহসা মানহানির মামলা দায়ের করবো।
প্রতিবাদকারী
আলহাজ্ব এম মমতাজুল হক
হাজিপাড়া, খুটাখালী, চকরিয়া।