যাদের চাকরি হচ্ছেনা

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১০:১৬ , আপডেট: ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১১:১৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল:
অনেকেই হতাশ! চাকরি হচ্ছেনা। এমনকি রোহিঙ্গা রেসপন্সে এতো মানুষের চাকরি হচ্ছে; তাও নিজেরটা হচ্ছেনা। এরকম অনেকেই নানাকিছু ভেবে বসেন। “রেফারেন্স ছাড়া চাকরি হবেনা”, “পছন্দের তালিকায় না থাকলে চাকরি হবেনা”….. ইত্যাদি। অথচ উচিত “কিভাবে চাকরি হবে” তা করা।
আমি প্রথমেই বলে নিচ্ছি চাকরির ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ভালোলাগা এবং পছন্দের কাজটি করা। আপনার পছন্দের কাজটি যদি করেন তাহলে চাকরি জীবনটা অনেক উপভোগ্য হয়ে উঠবে আপনার জন্য।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় কিংবা ফার্স্ট গার্ল হলে কিংবা সার্টিফিকেটে সর্বোচ্চ নাম্বার থাকলেই যে ভালো চাকরিটা সবার আগে পাবেন; তা কিন্তু নয়। অনেকেই এমন ধারণা নিয়ে কেবল পড়াশুনা করেন। এতে অন্যান্য সবকিছুই বাদ পড়ে যায়।
এনিয়ে লিখতে গেলে অনেক কিছুই লিখতে হয়। আমারও সেই সময় নেই। আপনারও সেই সময় নেই। আমি সংক্ষেপেই কিছু বলার চেষ্টা করি।
সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেকে পছন্দের কাজ কিংবা চাকরিটির জন্য যোগ্য করে তৈরি করা। এরপর পছন্দের ওই কাজটি যারা করছেন তাদের সহায়তা করা। যেমন ভোলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা। ব্যক্তিগতভাবে কেউকে সহায়তা করার সুযোগ থাকলে, তাও করেন। কেবল এই দু’টি বিষয় গুরুত্ব দিলেই সহজেই চাকরি হবে আপনার। ১। পছন্দের কাজ/চাকরিটির জন্য নিজেকে যোগ্য হিসেবে তৈরি করা। ও ২। ভোলান্টিয়ার সার্ভিস দেয়া।
আমি যদি বলতাম, পছন্দের কাজ/চাকরিটি যারা করছেন তাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন। কিভাবে করতেন আপনি? দেখা সাক্ষাত করার চেষ্টা করতেন, নিয়মিত ফোন করে খোঁজ খবর নিতেন; এইতো? এতে বরং হিতে বিপরীতই করে ফেলতেন আপনি। ব্যস্ত মানুষগুলোর কাছে বিরক্ত মোটেও পছন্দ নয়।
বরং আপনি যদি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে সময় দেন; সেটা সবাই শ্রদ্ধার সাথে নেবেন। এছাড়া ওই সময় আপনার দক্ষতা প্রমাণের কিংবা প্রদর্শনের একটি সুযোগও আপনি পাচ্ছেন। (তবে কোনভাবেই অন্যকে জোর করে নিজের দক্ষতা দেখাতে যাবেন না। অন্যের সংকটে আপনার দক্ষতা নিয়ে পাশে দাঁড়াবেন। সেটাকেই অন্যরা মূল্যায়ন করবেন।) পরবর্তীতে যদি তাদের ওই সেক্টরে কোন লোক দরকার হয় তাদের পছন্দের তালিকায় আপনাকেই প্রথমে রাখবেন। আর যদি ভিন্ন কোন প্রতিষ্ঠানে এই সেক্টরে লোক দরকার হয়, তখনও তাঁরা আপনাকেই রেফারেন্স দেবেন।
এখানে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার না করলেই নয়। সবসময় ইতিবাচক এবং কৃতজ্ঞতাবোধ থাকতে হবে। এই যে রেফারেন্স; চাকরি হয়ে যাওয়ার পর রেফারেন্সের প্রতি অকৃতজ্ঞতা কিংবা মিথ্যাচার করা যাবেনা। এতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমাদের কক্সবাজারের অনেকেই এই কাজটিই করেন। এতে যেখানে আপনি চাকরি করছেন; তারাও আপনার প্রতি খারাপ ধারণা নিয়ে রাখেন যে, আজকে যার রেফারেন্সে আপনার চাকরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আপনি মিথ্যাচার করছেন এবং তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। পরবর্তীতে তারাও যদি আপনাকে কোন সুযোগ দেয়; তাদের বিরুদ্ধেও একই কাজটি আপনি করবেন। কাজেই আপনি কালো তালিকায় চলে গেলেন। হয় ওই পজিশনেই থেকে যাবেন; যদি কোনদিন লোক ছাঁটাই করতে হয়, প্রথমে আপনাকেই ছাঁটাই করবে, পদোন্নতিতো চিন্তাই করতে পারবেন না।
বাস্তব উদাহরণ দিয়ে আমি বিষয়টি পরিস্কার করতে চাই। একযুগ আগে একজন ব্যক্তির রেফারেন্সে আমার একটি চাকরি হয়েছিল, তিনি আমাকে একটি ২০ টাকার নোট পাঠিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম হয়তো মিষ্টি খাওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি যখন জানতে চাইলাম; শুনে একেবারে আকাশ থেকেই পড়লাম। মূলতঃ যখন কোনদিনও ওই রেফারেন্সকে বাঁশ দেয়ার দরকার হয় যেন ওই ২০টাকাটা কাজে লাগাই, সেজন্যই দিয়েছিলেন টাকাটি। যাই হোক ২০ টাকার নোটটি দীর্ঘ ১ যুগ ধরে এখনও আছে আমার কাছে। এখনও খরচ করার দরকার হয়নি। আমার পরিবারের সবাই ওই টাকাটি সম্পর্কে জানেন এবং রেফারেন্সের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাবোধ রাখেন। আমার বিশ্বাস আমার মৃত্যুর পরও ২০ টাকার নোটটি থেকে যাবে আমার উত্তরসূরীদের কাছে। তারাও জানবে ব্যাপারটি। হয়তো রেফারেন্সের পরবর্তী প্রজন্মের কেউ আমার পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে উপকৃত হবেন। যদি বাঁশ দিতে হয়; তখন যেন ২০টাকার নোটটিই তারা ব্যবহার করেন। তবে আত্মবিশ্বাস আমার উত্তরসূরীরা ২০টার নোটটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার যোগ্য হবেন।
নিশ্চয়ই আপনারা বুঝেছেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। রেফারেন্সের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিটির কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই তিনি হয়তো আমাকে ২০টাকার নোটটি দিয়েছিলেন। আমি উনার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে চাইনি। এসব শুনতে চাওয়া মানে “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা” দেয়া। তবে নিজেকে ওই অবস্থানে দাঁড় করিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের চেষ্টা করেছি আমি। এই অভিজ্ঞতার খুব সামান্য কিছু শেয়ার করতে পারি আপনাদের সাথে।
কক্সবাজারে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকান্ড গুটিয়ে নেয়ার সময় প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় পদে থাকা ভদ্র মহিলাটি খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আমাকে তার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সাহায্য চেয়েছিলেন। আমি খুবই সহানুভূতিশীল হয়েছিলাম তার প্রতি। কক্সবাজারে একই ধরণের একটি প্রতিষ্ঠানে লোক নেয়ার খবর ছিল আমার কাছে। আমি ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আলাপ করলাম এবং ওই মাসেই মেয়েটির চাকরি হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। মেয়েটি নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে প্রথম মাসেই আমাকে নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন; যেটি ওই প্রতিষ্ঠানের সবাইকেই রীতিমতো অবাক করে দিয়েছিলেন। তারা যখন বিষয়টি অনেকটা অভিযোগের সুরেই আমাকে জানালেন, আমি তাদেরকে বললাম, মেয়েটি না বুঝে হয়তো বলেছে, এসব বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু এরপরও পরবর্তী কয়েক মাস পরেই দেখলাম মেয়েটি ওই প্রতিষ্ঠানে নেই। যাই হোক; চাকরি হওয়ার পর থেকেই মেয়েটির সাথে এখনও পর্যন্ত আমার একবারের জন্যও কথা হয়নি। অথচ আমি যদি রেফারেন্স না হতাম তাহলে হয়তো দুয়েক বছর আগে মেয়েটির যে বিয়ে হলো সেখানেও আমি দাওয়াত পেতাম। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আমাকে একজন ফোনও করেছিল “সাকিল ভাই আপনাকে দেখতেছিনা” বলে।
নতুন কর্মস্তলে যোগদানের প্রথম মাসেই রেফারেন্সের ব্যাপারে বাজে মন্তব্যের কারণ কি?
হ্যাঁ। ব্যাপারটা হচ্ছে। আমরা অনেকেই এরকম ধারণা পোষণ করে রাখি যে, নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তিকে তুচ্ছু তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করলেই হয়তো শ্রোতারা ওই বিষয়ে আমাকে সেরা মনে করবে। আসলেই ব্যাপারটা সেরকম নয়। যে ব্যক্তিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছি তার ব্যাপারে যদি শ্রোতা আগে থেকেই ধারণা রাখেন, শ্রোতার কাছে নিজেকেই ফেঁসে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেকে সেরা প্রমাণের জন্য প্রথমেই অন্যের যোগ্যতাকে শ্রদ্ধা করতে হবে, মূল্যায়ন করতে হবে। এরপর নিজের যোগ্যতাটি খাটাতে হবে। অন্যের টানা দাগটি মুছে নিজের দাগ বড়ো করে দেখানোর চেয়েও অন্যের টানা দাগটি না মুছে নিজের টানা দাগটিকে আরো বড় করার চেষ্টা করতে হবে। বুঝাতে পেরেছি ব্যাপারটা?
জি। ওরকম ঘটনাই ঘটেছিল ভদ্র মহিলার চাকরির প্রথম মাসেই।
এছাড়া আমার নিজস্ব কিছু প্রজেক্টেও অনেককেই চাকরি দিয়েছি কোন রেফারেন্স ছাড়াই। কাজ শিখিয়ে চাকরি দিয়েছি সেরকম লোকও আছে বেশ কয়েকজন। তারাও আমার বিরুদ্ধে বাইরে যেসব কথা বলেছেন; শ্রোতারা শুনে অবাক হয়েছেন। অথচ একই বিষয়গুলো বাইরের মানুষগুলোকে না বলে আমাকে বললে আরো অনেক বেশি উপকৃত হতো তারা। কারণ আমি সবসময় তাদের ভালো চেয়েছি। তাদের অমঙ্গল চেয়েছি সেরকম একটি উদাহরণ তাদের কাছেও নেই।
এরকম আরো অনেক উদাহরণ দিতে পারি। উপরোক্ত উদাহরণগুলো নিজেদের যেমন ক্ষতিকর, অন্যদের জন্যও ক্ষতিকর। উপরোক্ত উদাহরণগুলো অন্যদের সহায়তার মানষিকতাকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিংবা সহায়তা করলেও বাঁশ কেনার জন্য ২০টাকার নোট ধরিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
এই বিষয়গুলো যদিও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; চাকরি পরবর্তী পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈকি। যার রেফারেন্সে আপনার চাকরিটি হলো তাকে একটি ধন্যবাদ দিতে আপনার সমস্যাটা কোথায়? এমনও হতে পারে চাকরি হওয়ার আগে চাকরির জন্য টাকা পয়সাও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নেয়নি। চাকরি হওয়ার পর যদি মনে করেন এখন আর তার ধার ধারেননা। সেটা রেফারেন্সের জন্য কিছুই যায় আসেনা। কিন্তু সেটা আপনার জন্যই অনেক কিছুই যায় আসে।
যাই হোক, চাকরি হওয়ার জন্য কি করা উচিত সে বিষয়েই বেশি আলোচনা করা উচিত। ভোলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করুন। এখন বলতে পারেন, এরকম সুযোগ কোথায় পাবো? এখন শুয়ে শুয়ে যদি ফোন করেন, “সাকিল ভাই, চাকরিতো হচ্ছেনা, তাহলে ভোলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার জন্য হলেও একটি লিংক দেন”। হবে? না। হবে না। ভাই আরামের বিছানাটা একটু ছাড়ুন। বের হোন। আপনি যেই কাজটি ভালোবাসেন সেখানে ছুটে যান। দেখুন কি হচ্ছে ওখানে। যারা কাজ করছেন তাদেরকে সহায়তা করুন। এভাবেই ভোলান্টিয়ার হতে পারবেন। আমি হয়তো পোস্টে কয়েকটি ভোলান্টিয়া হওয়ার লিংক দিয়ে দেবো। কিন্তু সেগুলো আপনার পছন্দের সেক্টর নাও হতে পারে। নিজের পছন্দের কাজটি নিজেই খুঁজে বের করুন।
আমাকে কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে কাজে সহায়তা করেন। এতে আমি তাদের দক্ষতা এবং যোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কাজেই তাদের ভালো কোন কাজের সুযোগের জন্য আমি সবসময় কান পেতে থাকি। ওরকম আপনি যার সাথেই ভোলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবেন না কেন; সেটার মূল্যায়নটা এরকমই হবে। এছাড়া কিছু হাত-খরচ তো পাবেনই।
ভোলান্টিয়ার সার্ভিস ছাড়াও সবসময় নিজেকে আপডেটেড রাখুন। আগ্রহ অনুযায়ী পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ নিন। বিভিন্ন গ্রুপে এক্টিভ থাকুন। ইংলিশ ক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্লাবে সম্পৃক্ত থাকুন। যারা ইংরেজি জানেন ইন্টারপ্রেটর হিসেবে কাজ শুরু করুন, এতে দৈনিক ৫০ ডলার থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কয়েকজন গ্রুপ করে গবেষণা কিংবা নতুন কোন কাজ শুরু করুন; এটা কি এনে দেবে কল্পনাও করতে পারবেননা। অন্যের মঙ্গলের জন্য কাজ শুরু করুন। সুন্দর একটি প্রোফাইল ছবি দিয়ে চমৎকার একটি সিভি তৈরি করে রাখুন, গণহারে সেটা বিলি না করে, সবাই যেন আপনার সিভিটা খুঁজে সেই যোগ্যতা ও পরিবেশ তৈরি করুন। অন্যকে বিরক্ত না করে সহায়তা করুন। অন্যের পেছনে লেগে থাকবেন না, এতে আপনি সবসময় পিছিয়েই পড়ে থাকবেন। অন্যকে পথ দেখাতে এগিয়ে আসুন, এতে আপনি সবসময় এগিয়ে থাকবেন। কোন কিছু পাওয়ার জন্য সহায়তা না করে, নিজেকে পরোপকারী মানুষ হিসেবেই তৈরি করুন। জব ফেয়ার চলছে, সেখানে গিয়ে ঘুরেন।
অনেকের সিভি আমার কাছে আছে কিংবা আমি অনেকের জন্যই রেফারেন্স হিসেবে কাজ করেছি। তারা কোনভাবেই মনে করবেন না কেবল আপনাদের উদ্দেশ্য করেই আমি পোস্টটি করেছি। আসলে আপনাদের সাথে আমার এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে, ফেইসবুকে আর লেখার দরকার নেই। মূলত যাদের সাথে আমার কথা বলার সৌভাগ্য হয়নি, তাদের উদ্দেশ্য করেই আমি পোস্টটি করেছি। এরপরও কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
একটি চাকরিই জীবন নয়; জীবন মানে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন। আমাদের সেটি বুঝতে হবে। আসুন, জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাই। যদি সুযোগ থাকে, নিজের চাকরির জন্য পড়ে না থেকে, অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টির আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করুন। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে আপনার সবচেয়ে বড় চাকরিটা। সত্যিই। সবার জন্য শুভ কামনা।

লেখক পরিচিতি:
মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল বাংলাদেশের একাধিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ।
বর্তমানে তিনি ভয়েস অফ আমেরিকা ও এটিএন বাংলায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।