বেলাল আজাদ:

দেশের অন্যতম বয়স্ক প্রবীণ মহিলা কক্সবাজারের শতবর্ষী নারী গুলবাহার অসুস্থ্য হয়ে গত কয়েকদিন ধরে শয্যাশায়ী। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং  ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত কালা মিয়ার স্ত্রী গুলবাহার (১০২) বর্তমানে প্রায় স্বজ্ঞাহীন ও নিজ বাড়ীতেই পল্লী ডাক্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। তিনি ১ম বিশ্ব যুদ্ধকালীন ১৯১৬ সালে একই ইউনিয়নের ইনানী নূরার ডেইল গ্রামে জন্ম গ্রহণকারী এই শতবর্ষী নারী ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী এই
শতবর্ষী নারীর একমাত্র সন্তান ছেলে বৃদ্ধ আবদুস ছমদের বর্তমান বয়স ৭৮ বছর! ছেলে আবদুস ছমদের নাতী-নাতনীদের সন্তানাদিরও বিবাহ হয়ে গেছে! অত্যন্ত ধর্ম ভীরু ও কঠোর পরিশ্রমী এই শতবর্ষী নারী গত কয়েক দিন পূর্বেও নিজে রান্না ও গৃহস্থলী এবং ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সপ্তাহ খানেক পূর্বে জ্বরে আক্রান্ত হলে তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। কিন্তু বয়সের ভারে ন্যূজ্ব ও অচলাবস্থা এবং দরিদ্র পরিবারের আর্থিক দৈন্যদশার কারণে  তাঁকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা অথবা উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। স্থানীয় সোনার পাড়া বাজারের পল্লী ডাক্তার দিয়েই চলছে তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম। এলাকার প্রতিবেশী ও প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ নছিম, মকবুল আহমদ, মাষ্টার জালাল আহমদ, সাবেক মেম্বার হাজী আবুল বশর সহ অনেকে জানিয়েছেন, এই শতবর্ষী মহিলার কোমল আচরণ, ইবাদত-বন্দেগী ও নিরলস পরিশ্রম তাঁরা বছরের পর বছর ধরেই দেখে আসছেন। এমন ধর্মভীরু ও কর্মঠ নারী এ যুগে মেলা ভার।  এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, উন্নত চিকিৎসা সেবা পেলে এই শতবর্ষী নারী সুস্থ হয়ে আরও অনেকদিন বেচেঁ থাকবেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, তিনি ‘এই শতবর্ষী নারী বা তাঁর অসুস্থ্যতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।’ অসুস্থ্য শতবর্ষী নারী গুলবাহার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা, তাঁর সুস্থতার জন্য
সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন॥