নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা:
বর্তমান পৃথিবীর দীর্ঘ মানুষ কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার বড়বিলের জিন্নাত আলী (১৯)। দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।জিন্নাত আলীর শরীরে নানা রোগে বাসা বেধেছে। দরিদ্রতার কারনে কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল জিন্নাত আলী। মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা জিন্নাত আলীর সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন।সাথে ৫ লাখ টাকা ও একটি বাড়ী নির্মান করে দেওয়ার ঘোষনা দেন।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার সাথে সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেন।জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ২৫ অক্টোবর রামু উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম পৃথিবীর দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলীর গ্রামের বসতভিটা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন টীমের সদস্য গর্জনিয়া ইউনিয়ন( ভুমি)সহকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহেদ জানান,২৫ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের আদেশক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পদস্হ কর্মকর্তারা গর্জনিয়াস্হ বড়বিল গ্রামের পৃথিবীর দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলীর বসতভিটা পরিদর্শন করে ভিটার জমি পরিমাপ ও প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সহ একটি প্রতিবেদন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
স্হানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামিলীগের সভানেত্রী হাসিনা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর দীর্ঘতম মানুষ গর্জনিয়ার বড়বিলের জিন্নাত আলী তার গ্রামে অর্ধাহারে-অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের মাননীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল অবগত হয়ে মমতাময়ী মা, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুচিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সাক্ষাৎ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুচিকিৎসা, আর্থিক সহযোগিতা ও বাড়ী নির্মান করে দেওয়ার ঘোষনার ৪৮ ঘন্টা ব্যবধানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও রামু উপজেলা প্রশাসন বাড়ী নির্মানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করায় বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে গর্জনিয়াবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান,পৃথিবীর দীর্ঘ মানুষটির সুচিকিৎসার দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেওয়ায় গর্জনিয়ার জনগন অত্যন্ত আনন্দিত।তিনি জিন্নাত আলীর পাশে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে এগিয়ে এসে পৃথিবীর দীর্ঘ মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখার আহবান জানান।
রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানান, ২৫ অক্টোবর জিন্নাত আলীর বসতভিটা পরিদর্শন করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লুৎফুর রহমান জানান, জিন্নাত আলীর বসতভিটার কাগজপত্রসহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রের ফাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।অতিশীঘ্রই শুরু হবে জিন্নাত আলীর বসতবাড়ি নির্মানের কাজ।