বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‌‍’শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহজাহান আনচারীর বিরুদ্ধে ইয়াবাপাচার মামলা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদটি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সেই সাথে ঘটনার ব্যাখ্যা প্রদান করছি।
২৩ অক্টোবর দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ২১০০ ইয়াবাসহ মো. হাবিব (২৪) নামে ঢাকার এক যুবককে আটক করে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অফিসের একটি টিম।
ওই ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
কিন্তু সেই মামলায় আমাকে ও আমার হোটেলের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিনকে জড়িত করা খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। ঘটনার সঙ্গে আমাদের দূরতমও সম্পর্ক নেই। একটি চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীচক্র ঘটনায় বায়বীয়ভাবে আমাদের জড়িয়েছে।
সঠিক তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বের হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন করছি।

দুঃখের বিষয়, বিমানবন্দর থেকে আটক হাবীব নামের যুবককে মাদকদ্রব্য অফিসে না নিয়ে সরাসরি লেগুন বীচ হোটেলে নেয়া হলো।
এরপর নাটকীয়ভাবে হোটেল থেকে ঘুরিয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাথে আমার হোটেল ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিনকে সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। পরে তাকে মামলায় আসামী বানিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা খুবই দুঃখজনক।
আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেগুনা বীচ এ ৩৪টি সিসি ক্যামরা লাগানো আছে। ওই হোটেলে মো. হাবীবের কক্ষে কারা গিয়েছিল, আমার হোটেলের কোন লোক ওই কক্ষে গিয়ে ছিল কিনা সেটা ক্লোজ সার্কিট ক্যামরায় সংরক্ষিত আছে।
ইয়াবাগুলো আটক করা হয়েছে সেটা সত্য কিন্তু আমার হোটেলের সম্পূর্ণ বাহিরে বিমানবন্দর এলাকায়। কিন্তু আমার হোটেলের কি সম্পৃক্ত সেটা বোধগম্য নয়।
বিমানবন্দর থেকে ইয়াবাসহ আটক হাবিব ২২ অক্টোবর ১০৬ নাম্বার কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিল। ২৩ অক্টোবর সকালে হোটেল থেকে চেক আউট হয়ে যায়। এরপর থেকে সে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে-তার দায়দায়িত্ব কি আমার?
হোটেলে হাবীবের পর্যাপ্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।

আমি শাহজাহান আনচারী লেগুনা বীচের মালিক নয়। হোটেলটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা মোটেও সত্য নয়।এ সংক্রান্ত কোন মামলা এ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারবেনা।

ঘটনার আগে থেকেই আমি চিকিৎসাজনিত কারণে ঢাকায় অবস্থান করছি। কিন্তু এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি নাকি বিমানবন্দর থেকে আটক ব্যক্তিকে হোটেলের কক্ষে নিয়ে ইয়াবাসমূহ বুঝিয়ে দিয়েছি। যা চরম হাস্যকর বিষয়।
দুঃখজনক বিষয়- সম্পূর্ণ নিরপরাধ আমার হোটেল ম্যানেজারকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করা হলো।
পরিকল্পিত মামলায় হোটেল ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন ও আসামী করাটা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।

আমি ২/৩ বছর আগেও বিভিন্ন বৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম ও এখনো আছি। ব্যবসার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করার কারণই আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সামনে ডিএফএ নির্বাচন। গত নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরাই বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
দুই তিন বছর আগেও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা দুর্নাম ছিলো না। ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে পরাজিত শত্রুরাই বারবার এধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত ছিল। ওই ষড়যন্ত্রকারী বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা পর ব্যর্থ হয়ে বিমানবন্দর থেকে ইয়াবা আটক মামলায় আমাকে ও আমার ম্যানেজারকে মামলায় জড়িত করা তারই ধারাবাহিকতার অংশ।
আমি ঘটনার সুষ্টু তদন্তের দাবী করছি এবং মিথ্যা মামলার দায় হবে অব্যাহতির আবেদন জানাচ্ছি।

হলফ করে বলতে চাই
আমি কখনো কশ্মিনকালেও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম না। এখনো নাই। মাদক কারবারীদের তালিকায়ও কেউ আমার নাম দেখাতে পারবে না।
সুতরাং মহলবিশেষ তাদের ফায়দা হাসিল করতে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করছে।
এই অবান্তর কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সর্বমহলের প্রতি বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

শাহজাহান আনচারী
সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, কক্সবাজার
সহ-সভাপতি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন