গত ২২ অক্টোবর দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায় “ হালনাগাদ তালিকায় জেলার ৭৩ ইয়াবার শীর্ষ গডফাদার, কে এই জাফর ও শাহাজান চেয়ারম্যান?” প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি আমরা নিন্মস্বাক্ষরকারী।
প্রকাশিত সংবাদে টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া, মোস্তাক আহমদ (৩ বছর ধরে গুম) ও দিদার আহমদের নাম জড়িয়ে দেয়ায় আমরা সত্যিই বিস্মিত ও মর্মাহত। আমাদের জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, হাস্যকর ও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মাত্র। সংবাদের মানও খুবই নিন্মমানের। কোথাও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকার চাহিদা বাড়ানো মাত্র।
মূলত: আমি জাফর আহমদ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এরআগে তিনবার টানা ওয়ার্ড মেম্বার ও টানা আট বছর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। বর্তমানে আ.লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। যার কারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ লোকজন আগের মতোই ষড়যন্ত্র করে মানহানির চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই সাথে আমার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে লেগেই আছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কারণ পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে যখন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়; তখন বুঝতে হবে নিশ্চিয় ষড়যন্ত্র ও গায়েল করার জন্য। এছাড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহাজান মিয়ার নামেও ভুয়া সংবাদ লেখা হয়েছে। এসব হ্যসকর মাত্র। সংবাদ বলা হয়েছে, পরিবারের সবাই যুবদল ছাত্রদল জড়িত। আমরা বলতে চাই; আমাদের পরিবারের সবাই আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের গুরুত্বপূর্ণে দায়িত্ব রয়েছে। যদি প্রতিবেদক আসলেই সাংবাদিক হয়ে থাকে তাহলে; বিরোধী দলের নাম চাপিয়ে এতো বড় ভুল করতো না। খোঁজ নিলেত সবাই বলতো আমরা কোন দলে আছি। উল্টোপাল্টা লিখেই আমাদের মানহানি করার চেষ্টা করাই পত্রিকাটি নিজের বিশ্বাস্যযোগ্যতা হারিয়ে পেলেছে।
যদি আমরা ইয়াবা ব্যবসায়ী হয়; তাহলে আমাদের আটক করছে না কেন। আমাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করছে না কেন। জোর করে পত্রিকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে চাপিয়ে দিলেই কি ইয়াবা ব্যবসায়ী হয় নাকি ? আর জাফর আহমদের নেতৃত্বে যে তান্ডব চালানো কথা উল্লেখ করা হয়েছে; এরকোন তথ্য বা প্রমাণ নেই। সংবাদকে অতিরঞ্জিত করার অংশ মাত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকায় যদি আমাদের নাম থাকতো তাহলে আমরাত আর প্রকাশ্যে ঘুরতে পারতাম না? জনগনের সেবা করতে পারতাম না ? আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কাজ করে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পারতাম না। আসল তথ্য গোপন করে মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের প্রতিপক্ষ লোকজন টাকার বিনিময়ে সংবাদ চাপাতে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে মাত্র। অতীতেও অনেক ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছিল আমাদের বিরুদ্ধে। মানুষ ও প্রশাসন ঠিকই জানে কোনটা ভুয়া সংবাদ। তাই তারাও ভুয়া সংবাদের পিছনে দৌড়ছে না।
আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে, আমাদের পরিবারের কেউ ইয়াবা ব্যবসায়ে জড়িত নন। ভুয়া তালিকায় নাম ব্যবহার করে হয়রাণি করা হচ্ছে মাত্র। আমরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত এলাকার জনপ্রতিনিধি। একই সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তি। প্রশাসনসহ বাংলাদেশের সচেতন মানুষ সবাই জানে; যদি কেউ বিপুল ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে; তার প্রতিপক্ষ লোকজন অব্যশই থাকে। যেমন আমাদের প্রতিপক্ষও আছে। আমার পরিবারের সদস্যরা কেন বারবার বিপুল ভোট জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে; কেন আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছি। এটাই সহ্য হচ্ছে না প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রকারীদের। যার কারণে বারবার মিথ্য সংবাদ পরিবেশ করে হয়রাণি ও মানহানি করার চেষ্টা করছে।
একই সাথে বিক্রি করা গাড়িটি থেকে কিছুদিন আগে মেরিন ড্রাইভ রোড়ে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা গুলো সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়ার ইয়াবা ও গাড়ি বলে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার ছড়িয়ে মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছি। যাচাই-বাছাই না করে হঠাৎ করেই এমন একটি ঘটনায় আমার নাম জড়িয়ে দিয়ে নেপথ্য নায়কদের আড়াল করে আসলে কারা লাভবান হচ্ছে তাও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে যেমন আসল নিশানা ঠিক করা যায়না, তেমনি কোন তথ্য প্রমান ছাড়া কাউকে দায়ী করে অপপ্রচার করলেই আসল শক্র চিহ্নিত করা যাবে না। আমাদের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। একই সাথে বিচার-সালিশে সংক্ষুধ্ব এবং ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইর্ষান্বিত মহল একযোগে পুরো পরিবারের ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে মূলত: ওই তৃতীয় পক্ষটি ফায়দা হাসিল করতে চায়।
জেলার সম্মানিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্ধ, সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন মহলের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমরা পুরো পরিবার প্রতিবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। আবেগতাড়িত হয়ে ও প্রতিপক্ষ মহল বিশেষের প্ররোচনায় আমাদের দায়ী করে সাজানো কল্প কাহিনী দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাস্তবতা বিবর্জিত গল্প দিয়ে সাজানো অপপ্রচার নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
জাফর আহমদ
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি উপজেলা আ.লীগ।
শাহাজান মিয়া
চেয়ারম্যান, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও সভাপতি শ্রমিকলীগ টেকনাফ উপজেলা।