ডেস্ক নিউজ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত নির্বাচনের আগে আমরা সব দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের আহ্বান সত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি সাড়া দেয়নি। এবার নির্বাচনকালীন সরকার দরকার আছে কিনা, সেটা দেখা যাবে।
আজ সোমবার (২২ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌদি আরব সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি সৌদি সফর করেন।
নির্বাচনকালীন ছোট মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে বিরোধী দলগুলো চাইলে হবে, না হলে হবে না। তিনি বলেন, এ নিয়ে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন।

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাকে যে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভা ছোট করবো সেটা খুঁজে পাচ্ছি না। বড় থাকলে কি সমস্যা আছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ছোট মন্ত্রিসভা ও তখনকার বিরোধী দলকে নিয়ে সব দলের সরকার গঠনের কথা বলেছিলাম। এখন এটা দরকার আছে কি না সেটা দেখা যাবে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের কিন্তু দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তা সত্ত্বেও যাদের প্রতিনিধিত্ব সংসদে আছে তাদের সবাইকে নিয়েই কিন্তু আমরা মন্ত্রিসভা গঠ্ন করেছি। সেই মন্ত্রিসভা নিয়েই আমরা চলছি। আগে কিন্তু এটা ছিল না, আগে শুধু আমাদের ছিল। আমি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আপনারা যেভাবে চান, সেভাবে আমরা প্রস্তুত আছি।’
তবে প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য ছোট মন্ত্রিসভার সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘এখন (মন্ত্রিসভায়) কাটছাঁট করলে তো একধরনের সমস্যাই হবে। আমাদের এত প্রজেক্ট আছে। এরই মধ্যে আমরা এত প্রজেক্ট পাস করেছি সেসব কাজ শেষ করা দরকার। এখন কয়েকটি মন্ত্রণালয় যদি একজনের হাতে দিই তাহলে তিনি পারবেন কিনা, দুই-তিন মাসের মধ্যে আমাদের অনেকগুলি কাজ করতে হবে। এখন কাজগুলি করতে গেলে কাউকে সরিয়ে দিলে কাজগুলি ব্যাহত হবে কিনা, এ সমস্যাটাই রয়ে গেছে। আমি কাজগুলি দ্রুত শেষ করতে চাই। এবং সবাই যার যার মন্ত্রণালয়ের কাজগুলি করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ইত্যিাদি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে। আমি ওই সব দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তো কোনও পরিবর্তন করে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা আলাপ-আলোচনায় আমি তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারা তো বলেছে, তেমনটা করার তো কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই… আমরা যেমন থাকি তেমন থেকেই তো নির্বাচন করি। এখন দেখা যাক কী হয়? যদি ডিমান্ড করে অপোজিশন তখন করবো। আর না করলে কিছু করার নেই।’