সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত রুখে দিয়ে, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবজোট, কক্সবাজার জেলা।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ২১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় জেলা জাসদ কার্যালয়ের সামনে যুবজোটের কক্সবাজার জেলা সহ-সভাপতি আবদুর রহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- জেলা সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার দাশ হিমু, সহ-সভাপতি নুরুল আলম, যুগ্ম-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সিরাজী, মোঃ জাকের হোসাইন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিদারুল আলম সিকদার, জাতীয় যুবজোট অর্থ সম্পাদক দিদারুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল রানা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক একরামুল হক কন্ট্রাক্টর, যুবজোট নেতা আজম খাঁন, আবদু সালাম, মোঃ আমান উল্লাহ আমান, মোঃ আলমগীর, মোঃ রুবেল, আবু আহমদ, মোঃ বোরহান উদ্দিন, ইমাম হোসেন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট বিগত ২০১৪ সালে সারাদেশব্যাপী যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, তারা আবারও একই কায়দায় আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। যার ফলশ্রুতি তারা ৭দফা দাবী উত্থাপন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির দায়ে দান্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তি, ২১আগষ্টের জঘন্য হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তারেক রহমানের মামলার দায় হতে অব্যাহতি।
বক্তারা আরও বলেন- যারা দেশের আইন আদালত মানে না তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে গণতন্ত্রের কথা। জাতীয় ঐক্যের কথা।
কথায় বলে রাজাকার সবসময় রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা সব সময় মুক্তিযোদ্ধা না। কিছু মানুষের তথাকথিত জাতীয় ঐক্য দেখে তাই মনে হয়েছে। এই ঐক্যের রাজনৈতিক গুরুত্ব তেমন কিছুই নাই। শুধু কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। ড. কামাল হোসেন, আসম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মনসুর এক সময় প্রগতিশীল আন্দোলন করেছেন। নীতি ভ্রষ্টের দায়ে এরা সবাই আওয়ামী লীগে আর নেই। তারা কথায় কথায় নীতি বাক্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। ব্যারিস্টার মইনুল ৭৫ পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের হলেও দীর্ঘদিন জামাত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষক হিসাবেই পরিচিত। ওনারা ঐক্য করেছেন কার সাথে? শুধু কি যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দল জামাতের সাথে? না, তারা ঐক্য করেছেন এমন একটি দলের সাথে যাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেও এই অতিমানবরা (!) নিজেরাই ছিলেন সোচ্চার। যে দলটির প্রধান বেগম জিয়া স্বয়ং এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে জেলে আছেন। যিনি নিজেই তার কালো টাকা সাদা করেছেন। বিদেশের আদালতেও তাদের দুর্নীতি প্রমাণিত। দেশে জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সেল্টার দিয়েছেন। যিনি পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। তারাই আবার জাতীয় ঐক্যের ডাকদেন। কি দুঃভার্গ্য আমাদের।
বক্তারা মনে করেন, এইসব দুর্নীতিবাজ, আগুন সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদীর হাত থেকে আমাদের গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে এরা পুনরায় এদেশে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে।
পাশাপাশি জাতীয় যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি রমজান আলী সিকদারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আহবান জানানো হয়।