ডায়াবেটিস বা হুমূত্র রোগ, দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হলে যে রোগ হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’। রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতির অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। মূলত ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এর মূল কথা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র আস্তে আস্তে বিকল হতে থাকে। তবে এ রোগ নিয়ে মানুষের মাঝে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তেমনি ৭টি ভুল ধারণা জেনে নেয়া যাক-
ডায়াবেটিকদের মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ বারণ
না, কখনই নয়। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সকলেই খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস না থাকলেও বেশি মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়।
ডাক্তার ইনসুলিন নিতে বলেছেন মানে রোগী যথেষ্ট নিয়ম মেনে চলেন না
T2D রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খেলেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কখনই রক্তদান করতে পারেন না
শুধুমাত্র যারা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন তারা রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অবশ্যই রক্তদান করতে পারেন।
ডায়াবেটিস থাকলে কখনই ট্যাটু করানো যাবে না
যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ট্যাটু করালে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কম।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হবেই
অনেক মোটা মানুষেরও ডায়াবেটিস হয় না। ওজনের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস ধরা পড়লে স্টার্চ জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে
ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্টার্চ। তাই কখনই ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া উচিত নয়। কম পরিমাণে অবশ্যই খান।
ডায়াবেটিকদের সব সময় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া উচিত ও কম পরিশ্রম করা উচিত
নিয়ম মেনে চললে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও অন্যদের মতোই পরিশ্রম করতে পারেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।