আয়ুব বাচ্চুর সাথে লেখক ও অন্যরা

অধ্যাপক আকতার চৌধুরী


 
গত ১৮ অক্টোবর পেনাং এসেছি । কিন্তু লংকাউয়ির ভাললাগা ভুলতে পারছি না। এর মধ্যে খবর পেলাম দেশের সেরা ব্যান্ড শিল্পী আয়ুব বাচ্চু আর নেই ! নি:সন্দেহে শকিং নিউজ ছিল আমাদের জন্য । কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার স্ত্রীই ফেসবুকে দেখে খবরটা বলে । বললাম, ফেসবুক তো জীবিত মানুষকেও মেরে ফেলে। মিথ্যা মনে হচ্ছে।
 

আয়ুব বাচ্চুর সাথে ছোট্ট একটা স্মৃতি আছে আমার । ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগ ডে কনসার্ট এ এসেছিলেন তিনি। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আর দর্শনার্থীতে ভরপুর চ.বি মাঠ । একটু পরেই স্টেজে উঠবেন। তখন কে একজন বলল , আয়ুব বাচ্চু নিচে গ্রীণ রুমে আছে । স্টেজে তখন আমরা হল ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছিলাম। তিনি এসেছেন শুনে কয়েক বন্ধু গ্রীণ রুমে গেলাম। ছবি তুলব। রাজী হলেন । প্রথম একটি আগেকার স্টাইলে কাঠের মত দাড়িয়ে তাকে মাঝে রেখে ভদ্র ছেলের মত ছবি তুললাম। আরেকটা তুলতে চাইলে

আয়ুব বাচ্চুর সাথে লেখক ও অন্যরা

বললেন , এভাবে ছবি করে কী সুন্দর আসবে । একটু স্টাইল কর। তখনো স্টাইল বুঝতাম না । তিনি বললেন হাতটা সামনে এগিয়ে ধর । দুই আঙ্গুল দিয়ে ভি এর মত কর।এরপর অনেকটা ইউ-ইউ স্টাইলের মত বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম।

তাকে মাথার ক্যাপ ছাড়া কেউ দেখেছে কিনা জানিনা্। সেদিন আমাদের সাথে ক্যাপ ছাড়াই ছবি তুলেছিল।
তখন কী যে একটা অনুভূতি মনের মধ্য দিয়ে গেল, যেন বিশাল কিছু অর্জন করে গর্ব অনুভব করছি। ছবিগুলো এখনো আছে । কিন্তু এ ছবির প্রধান চরিত্রটি আমাদের মাঝে নেই ! বার বার মনে হচ্ছিল , প্লিজ ফেসবুক তুমি তাঁর মৃত্যুটাকে মিথ্যে প্রমাণ কর। প্রতিদিন কত গুজব ছড়াও।এটাও না হয় গুজব মানি!

তিনি শুধূ একজন ব্যান্ড শিল্পী নন , একটা লিজেন্ড । বিগত কয়েক প্রজন্মের আইডল। আগামী প্রজন্মের লেসন। আমরা তাকে হারিয়েই বুঝতে পারছি এ শূন্যতা পূরণ হবার নয় । তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

সেদিনের স্টেজ ও দর্শক