শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ

শিশু ড্রাইভার, আতঙ্কে যাত্রীসাধারণ,
অধিকাংশ ড্রাইভারদের বয়স আঠারোর কম। আর হেলপারদের বয়সতো আরও কম। অনেকের বয়স দশ বছরেরও নিচে। এই সমস্ত অল্প বয়সের চালকরা গাড়ি এমনভাবে চালায় যে সবসময়ই দূঘর্টনার আশঙ্কা থাকে। এজন্য প্রতিদিনই আমাদের আতঙ্ক আর উৎকন্ঠার মধ্যে চলতে হয়।

কথাগুলো বলছিলেন তরিকুল ইসলাম নামের এক টমটম যাত্রী। তিনি নিয়মিত কক্সবাজার থেকে বাস টার্মিনাল এবং লিংকরোড় এই ঝুকিপূর্ণ টমটমে এবং মাহিন্দ্রায় যাতায়াত করেন। শুধু তরিকুল নয়, তাঁর মতো অনেকেই এরকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পথ চলতে হয় টমটমে এবং মাহিন্দ্রায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চট্রগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কে বাসটার্মিনাল থেকে রামুতে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টমটম এবং মাহিন্দ্রা চলাচল করে, যার অধিকাংশই চালকের বয়স আঠার বছরের কম। শুধু তাই নয়, গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও নাই।

লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে কবির নামের এক মাহিন্দ্রা চালক বলেন, আমাদের বয়স কম। তাই লাইসেন্স দেয় না। অনেক সময় অফিসে টাকা দিয়ে অনেকেই লাইসেন্স বানাইয়া নেয়।

তোমরা লাইসেন্স ছাড়া মাহিন্দ্রা এবং টমটম চালাও পুলিশ কিছু বলে না? পুলিশ যেদিন আমাদের লাইসেন্স এর জন্য ধরে সেদিন আমাদের ইনকাম থেকে কিছু জরিমানা দিতে হয়। কি করবো ভাই পেটের দায়ে অনেক কিছুই করতে হয়।

স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব মাহিন্দ্রা ও টমটম চালকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায়ও গাড়ি চালায়। যেখানে গাড়ি রাত্রে গ্যারেজে রাখে পাশেই পাওয়া যাচ্ছে এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য।

শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ হলেও এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে অনেক গাড়িতেই শিশুদের ড্রাইভার হিসেবে দেখা যাচ্ছে। রিকশা, অটো রিকশা, পিকআপ, ট্রাকটরসহ অনেক যানবাহনের ড্রাইভার হয়ে শিশুরা গাড়ি চালাচ্ছে! সচেতন নাগরিক হয়ে সেই গাড়িতে অনেকেই যাতায়াত করছে। প্রতিবাদ করছে না কেউই। যে যার মতো করে চলছে।

এ বিষয়ে কেউ কেউ বলছেন, শিশুদের এসব গাড়ি চালানোর ব্যাপারে জনগণকে যেমন সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে তেমনি সরকারকেও নজর দিতে হবে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার পরার্মশ দেন তারা।