শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের অপরাধ জগতের অন্যতম কিং ও পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের মূর্তিমান আতঙ্ক ১২ মামলার আসামী পেশাদার ছিনতাকারী আশিকুর রহমান প্রকাশ আশিককে (২৮) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার ভোরে শহরের ফিরোজা শপিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আশিকের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে তার সহযোগি সাজ্জাদ হোসেন নামে (২৪) আরেক ছিনতকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছেন, শহরের ছিনতাইকারীদের গড়ফাদার বাহারছড়ার মোবারকের বাসা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। সে শহরের মধ্যম বাহারছড়ার আবুল বশরের পুত্র। এই দুই একটি ছিনতাইকারীর কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, গুলি, তিনটি ছুরি, চারটি গুলি, একটি খোসা ও দেড়শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম, ওসি (অপারেশন) মাইন উদ্দীন ও উপ-পরিদর্শক সুজন। দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, বাহারছড়ার মৃত আবদুল করিমের পুত্র আশিক কক্সবাজার শহরের পর্যটকসহ সবস্তরের মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম। মূলত তাদের গড়ফাদার বাহারছড়ার তাজুল মুল্লুক সড়কের হাসমত আলী মিস্ত্রির পুত্র মোবারক আলী। মোবারকের নির্দেশনায় আশিকসহ প্রায় ১০/১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারী পুরো শহরজুড়ে ছিনতাই, ইয়াবা বিক্রিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। আশিক আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু জেলে থেকে বেরিয়ে আবারো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বাহারছড়ার পশ্বিমে সমুদ্র সৈকতে রয়েছে গোপন আস্তানা।
ওসি জানান, আশিকের বিরুদ্ধে ছিনতাই, সন্ত্রাস, ইয়াবা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের হিট লিস্টেও অপরাধী। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরে অবিরাম চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে এক সহযোগিসহ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের গড়ফাদার মোবারককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, বন্দুক, গুলি, ছুরি ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটো মামলা রুজুর করা হবে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।