টেকনাফ ও উখিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদকসহ আটক ১০ জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার ভোররাত ও দুপুরে পৃথক সময়ে তাদের আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, টেকনাফে অভিযানে মাদকসহ ৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। রোববার ভোররাতে আটক এসব ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ডেইলার বিল এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলী (৩০), একই ইউনিয়নের করাচি পাড়ার মৃত জাফর ড্রাইভারের ছেলে ইদ্রিস ড্রাইভার(২৮), জিনাপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. ইদ্রিস (৪০), করাচি পাড়ার মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে সৈয়দ নুর (৫০) ও টেকনাফ বার্মিজ মার্কেট এলাকার মো. জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধীনস্থ টেকনাফ সার্কেলের একটি টিম বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ টাস্কফোর্স টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের করাচি পাড়ায় অভিযান চালায়। এসময় ১১০পিস ইয়াবা ও ১০০গ্রাম গাঁজাসহ ৫জনকে আটক করতে সক্ষম হয় অভিযানকারিরা।রোববার বিকেলে মাদকসহ ধৃতদের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রনয় চাকমার ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালত প্রতিজনকে ৬মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের টেকনাফ মডেল থানার মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, উখিয়ায় পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ৫ যুবককে ৬মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একরামুল ছিদ্দিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে মরিচ্যা এলাকা থেকে আটক করা হয়। আর পাবনার সুজানগর থানার ভবানীপুরের হাজারির ছেলে জালাল হাজারি, আব্দুল আজিজের ছেলে মো. আশিক, মো. সেলিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও খোরশেদ মিয়ার ছেলে আলী মিয়াকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজু ব্রিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একরামুল ছিদ্দিক জানান, তাদের কাছ থেকে ২৩৫ পিস ইয়াবা ও সেবনের কিছু সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এসব ইয়াবা রাখার অপরাধে তাদের এ সাজা দেয়া হয়েছে। পরে উখিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।