সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
‘এসো শারদ প্রাতের পথিক, এসো শিউলি বিছানো পথে। এসো ধুইয়া চরণ শিশিরে, এসো অরুণ-কিরণ-রথে।’ এই আহ্বানে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হল মিলনায়তনে অয়োজন করা হয়েছে নান্দনিক শরৎ সন্ধ্যা।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কক্সবাজার শরৎ সন্ধ্যা উদযাপন পরিষদ। অনুষ্ঠানটি রাত ১০টা পর্যন্ত চলে।
শুরুতেই কথামালায় স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজকদের পক্ষে ফয়সাল মাহমুদ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
শরৎ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাসির উদ্দিন ও বেসরকারি সংগঠন মুক্তির প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার প্রমুখ।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, শারদ প্রাতে শরৎ আমাদের মাঝে এসেছে। শরতের বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে শিউলি আসে, আসে কাশফুল। প্রকৃতিতে কি অসাধারণ সুন্দরের হাতছানি। কিন্তু সেই অনুভূতিগুলো দিনদিন কেমন জানি মলিন হয়ে যাচ্ছে। এক অন্য রকম আনন্দের আবাহন নিয়ে আমাদের মাঝে শরৎ আসে। শরতের এ আনন্দ আবাহন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক।
তিনি বলেন, এ ধরনের নান্দনিক আয়োজনের মধ্যদিয়েই শরতের আনন্দ আবাহন আমাদের মাঝে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে।
‘হে পার্থ সারথী বাজাও বাজাও’ এ গানটির সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের নৃত্য পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর চলে কক্সবাজারের স্থানীয় শ্রুতি আবৃত্তি অঙ্গনের শিল্পীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি অনুষ্ঠান আর সৃজন সংগীত ভুবনের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।