এম.এ আজিজ রাসেল:
দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতনী সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার মা মর্ত্যে আগমণ করবে ঘোড়া নিয়ে। তাই মাকে বরণে ফুলের ঢালা সাজিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছে সবাই। পাড়া-মহল্লায় লেগেছে পুজোর হাওয়া। সে হাওয়া রূপ নিয়েছে বর্ণিল উৎসবে। শনিবার মায়ের বোধনের মাধ্যমে দূর্গাপুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
জেলায় এবার ৩০১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে প্রতিমা পূজা হবে ১৪০টিতে ও ঘট পূজা হবে ১৬১টিতে। এছাড়া সদরে মোট ৬৫টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১৮টি, রামুতে ৩০টি, চকরিয়া পৌর এলাকাসহ ৮৩টি, পেকুয়ায় ১৪টি, কুতুবদিয়ায় ৪১টি, মহেশখালী পৌর এলাকাসহ ৩১টি, উখিয়ায় ১৫ ও টেকনাফ পৌর এলাকাসহ ৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে শনিবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ। জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতি এড. রনজিত দাশ বলেন, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালনে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পুজা সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাত করা হয়েছে। সাক্ষাতে সকলেই সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পুজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে হত-দরিদ্র সনাতনী সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ উপহার দেয়া হবে। এছাড়া ৩০১টি মন্ডপের জন্য প্রায় ১৫০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে ৫দিন ব্যাপী পুজা শুরু হবে। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে। সেখানে আসার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার সপ্তমীতে পুজা মন্ডপ পরিদর্শনে হাইকোর্টের আপীল ডিভিশনের তিনজন বিচারপতি আসবেন। তারা হলেন বিচারপতি জিন্নাত আরা, বিচারপতি কৃঞ্চা দেবনাথ ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য স্থান। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে কক্সবাজারের সুনাম দ্বিগুণ হয়েছে। পুজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোন শংকা নেই। কারণ এ পর্যন্ত পুজায় কোন অঘটন হয়নি। আশা করছি এবারও সকলের সহযোগিতায় কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি রতন দাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দীপু, সদর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবলা পাল, শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বেন্টু দাশ, উজ্জ্বল দাশ, বলরাম দাশ অনুপম, খোকন পাল, রলরাম পাল, মিটন দাশ প্রমূখ।