মহেশখালী প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে ঘূণিঝড় তিতলী’র প্রভাবে গত ৪ দিন ধরে মহেশখালীতে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ী ঢল, সমুদ্র ও জোয়ারের পানিতে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে চলতি আমন মওসুমের সদ্য রোপণকৃত আমন ক্ষেত, চিংড়ী ঘের, পানের বরজ, কাঁচা ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, ছোট মহেশখালীর উম্বুনিয়া পাড়া, মাতারবাড়ীর, হোয়ানক, ধলঘাটা ও কালামারছাড়ার চিংডিঘেরসহ নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাাবিত হয়ে আমন ধান ক্ষেতের অনেকাংশ তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য চিংড়ী ঘের। নষ্ট হয়ে গেছে সবজির ক্ষেত ও পানের বরজ।

এসব এলাকায় কয়েকশত কাঁচা ঘর-বাড়ী ও গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাতারবাড়ী ইউপির মগড়েইল গ্রামের বাসিন্দা হামেদ হোসাইন মেম্বার এবং ধলঘাটার স্থানীয় লোকজন।

পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে বেশ সংখ্যক পানের বরজ। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলার কৃষকরা বলেন, যদি দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে না আসে এবং পানি নেমে না যায় টানা ভারী বর্ষণে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এছাড়া ও বিভিন্ন সড়কের কালভার্ট গুলোদিয়ে বর্ষার পানি বন্ধ করে রাখার কারণে ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এ রকম ঘটনায় মাতারবাড়ি-চালিয়াতলি সড়ক, হোয়ানক হরিয়ার ছড়া যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। অসাধু চিংড়ি ঘের মালিকরা দারাদিয়া ব্রিজ এলাকার কয়েকটি কালভার্ট বন্ধ করে রাখায়, বর্ষার পানি সড়কে উপরে গড়িয়ে পড়ে কার্পেট উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিণত হয়েগেছে।

বর্তমানে মাতারবাড়ি-চালিয়াতলি সড়কে গাড়ি যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে। কালারমারছড়া গনমাধ্যম কর্মী মোহাম্মদ নেছার জানান ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিজ চোখে না দেখলে কেউ অনুমান করতে পারবে না। দেখলে কান্না চলে আসে। মহেশখালীতে কোটি টাকার উপরে পান বরজ নষ্ট হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিব বলেন, তিতলীর প্রভাবে ক্ষতির পরিমান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।