মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:
চট্টগ্রাম ২ ও ৫ (ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী) সংসদীয় আসনে নিজ দলের নবীন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চ্যালেঞ্জ দিতে চূড়ান্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে হবে প্রবীণদের। ২টি আসনে প্রবীণদের পাশাপাশি এবার মাঠে রয়েছেন শক্তিশালী কয়েকজন নবীন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় অর্জন করেছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র দুই দলের তরুণ ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও আওয়ামীলীগের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। নানা কারণে মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের প্রবীণরা। আগামী নির্বাচন নিয়ে এমন জটিল সমীকরণ থাকায় এবার আগাম পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য ফলাফল নির্ধারণ করা বেশ কঠিন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরব বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা-নেত্রী।আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। প্রবীণ রাজনীতিবীদদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের এসব রাজনৈতিকও নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাবেক সংসদ ও প্রবীণ নেতাদের কন্যা। মনোনয়ন দৌঁড়ে তারা চমক তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
চট্টগ্রাম- ৫ (হাটহাজারী) সংসদীয় আসনে বিএনপি’র সাবেক এমপি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনবারের সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম মানুষের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তারই কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা বাবা সেই আসন থেকে নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছেন। প্রবীণ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে তার বেশ জনপ্রিয় রয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান জনগণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি যায় তাহলে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে আমি মনোনয়ন চাইব। রাজপথে থাকতে গিয়ে মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছি,জেল খেটেছি, সব সময় নেতা কর্মীদের সুখ-দুখের খোঁজ খবর নিয়েছি এবং সাহায্য সহযোগীতা করে আসছি। এ ত্যাগের কথা বিবেচনা করে যদি নেত্রী আমাকে নমিনেশন দিলে আমি নির্বাচন করব।
আওয়াামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী আসনে গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসছে ধরে নিয়ে নির্বাচনী ছক করছে আওয়াামী লীগ।আওয়াামী লীগের নীতি নির্ধারনী মহল এসব বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে তরুন আওয়াামী লীগ নেতা ও নেত্রী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, নেত্রীদের মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তা করছে।
সূত্র জানায় আওয়াামী লীগ দলীয় বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে তরুন আওয়াামী লীগ নেতা ও নেত্রী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, নেত্রীদের মনোনয়ন দেওয়া চিন্তা করছে। এক সময় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ার বর্তমানে তার মূত্যুর পর তারই এক মাত্র কন্যা এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আর প্রবীণ বেশি ভাগ আওয়ামীলীগ নেতা নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে ইতোমধ্যে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তরুণ ও ছাত্রসমাজ ছাড়াও তিনি সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে জনপ্রিয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি সাধারন জনগনের অধিকাংশ মানুষ তাকে এমপি হিসেবে আশা করেন। এ বিষয়ে কথা হয় খাদিজাতুল আনোয়ার সনি সাথে তিনি বলেন,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) থেকে মনোনয়ন চাইব যদি আমাকে মনোয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
