সৈয়দ শাকিল :
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার রায় ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা কক্সবাজার। জেলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিপুলসংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কক্সবাজার শহর জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, বুধবার (১০ অক্টোবর)কাক ডাকা ভোর থেকে কক্সববাজারের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে শহরের প্রধান সড়ক হতে উপ সড়ক জুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। জেলা প্রশাসকের অফিস, বিএনপি অফিস, সার্ফিং চত্বর, সুগন্ধার মোড়, শহীদ স্বরণী সড়ক, হলিডের মোড়, ভোলাবাবুর পাম্প, আইবিপি রোড, ফায়ার সার্ভিস, বাজার ঘাটা, তারাবনিয়াছরা, কালুর দোকান, খুরুস্কুল রাস্তার মাথা, হাশেমিয়া মাদরাসা, বাস টার্মিনাল, সিটি কলেজ , সরকারী কলেজ, উপজেলা গেইট, লিংকরোড, খরুলিয়া বাজার, বাংলাবাজার, পানিরছরা, নাপিতখালী, নতুন অফিস সহ ঈদগাঁও এলাকাজুড়ে রয়েছে ৩ শতাধিক পুলিশ। উল্লেখিত এলাকায় পুলিশের ৮ টি মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে রয়েছে। ব্যারিকেড বসানো হয়েছে মোড়ে মোড়ে। পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে সন্দেহভাজন যাতায়াতকারীদের ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি মানুষকে পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) কামরুল আজম বলেন, রায়ের ব্যপারে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। শহর থেকে শুরু করে সদরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি।
এ ব্যপারে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বলেন, রায় কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার চেষ্টা চালাতে না পারে, সে জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা যাতে কেউ না করতে পারে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এ ছাড়া সব ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী।
এদিন বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব সহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার চেষ্টা চালাতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কক্সবাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।