মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশী নাগরিক নিখোজের দীর্ঘ ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডেকুবুনিয়া পাড়ার ভালুকখাইয়া সীমান্তের নিজ পানের বরজে কাজ করতে গিয়ে ওই দুই ব্যক্তি নিখোজ হয়। নিখোজ দুই ব্যক্তি হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ডেকুবুনিয়া পাড়ার মৃত্যু মোঃ হোসেনের পুত্র মোঃ আয়াছ (৩০) ও টেকনাফের লেঙ্গুরবিল এলাকার বাসিন্দা মকতুল হোসেনের পুত্র মোঃ ইসমাইল (৩২)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হোসেন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় নিজ পানের বরজে কাজ করতে গিয়ে সকাল ৯টার দিকে সীমান্তের ৪৮-৪৯নং পিলারের মাঝামাঝি দুই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এর পরপরই ঘটনাটি জানাজানি হলে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদেরকে আশারতলীর প্রধানঝিরির আগায় ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা নিখোজ দুই ব্যক্তিকে কোন ধরনের মারধর বা মুক্তিপন আদায় করেনি। শুধুমাত্র তাদেরকে পাহাড়ী পথ দেখানোর জন্য গাইডার হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা ভাল্লুকখাইয়া বিজিবির ভিওপি ক্যাম্পে হেফাজতে রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সীমান্ত এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাড়া খবরও ইউপি সদস্য থেকে পেয়েছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী নিখোজ ও ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন তাদেরকে নিজ পানের বরজে থেকে কাজ করার সময় ধরে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের ৪৮-৪৯নং পিলারের মাঝামাঝি এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী ধরে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। সীমান্ত সংলগ্ন কোন পাহাড়ী সশস্ত্র সংগঠন এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
সীমান্তে নিখোঁজের ৭ ঘন্টা পর দুই বাংলাদেশী নাগরিক উদ্ধার
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
