কক্সবাজার বিচে কতগুলা ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার আছে। এদের ধরে দুইবেলা থাপড়াইতে ইচ্ছে করে। …. পেশাগত বা অন্য কারণে না। এরা ছবি তুলে দেয় সৈকতে আসা পর্যটকদের। খুবই ভাল বিষয়। সবাই ক্যামেরা নিয়ে আসে না। এই ধরনের কেউ ফটো তুলে দিলে ভালই হয়।

তাই বলে ফটো যিনি তুলবেন, তাকে স্টাইল বলে দিতে হবে? খুব কমন একটা স্টাইল হলো -সৈকতের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে।

ফেসবুকে দেখা ছবি অনুযায়ী, এই একটা স্টাইল অনেক স্মার্ট নরনারীকে বোকা বোকা বানিয়ে দিয়েছে। সমুদ্রের দিকে আঙুল দিয়ে দেখানোর কি আছে? এইরকম বেশ কিছু কমন স্টাইল আছে যা স্মার্ট মানুষের চেহারায় বোকা বোকা ভাব এনে দেয়ার জন্য যথার্থ। আবার ১০ টা ফটো তোলার কথা বলে ১০০ স্ন্যাপ নিয়ে সবগুলো গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা যেমন প্রতারণা, তেমনি যুগল বা পরিবারের জন্য বিব্রতকরও বটে।

তবে এই দিক দিয়ে পতেঙ্গা বিচের ফটোগ্রাফাররা এক কাঠি সরেস। এরা ক্যামেরার সাথে গিটার নিয়ে ঘোরে। ছবির অন্যান্য স্টাইলের সাথে পর্যটকের গলায় গিটার ঝুলিয়ে দেয়। যে লোকটা গানই শোনে না, সেই লোকটা পতেঙ্গা সৈকতে গলায় গিটার ঝুলিয়ে বসে আছে।

লাস্ট যখন পতেঙ্গায় গেলাম, দেখি বেড়াতে আসা বৌদ্ধ সন্যাসীর গলায় গিটার, ফটোগ্রাফার একের পর ছবি খিঁচে যাচ্ছে…

মাহতাব হোসেনের স্ট্যাটাস থেকে