এম.এ আজিজ রাসেল

শহরের বড় বাজারে তরকারি বাজারের সাথে লাগোয়া তিনটি দোকান উচ্ছেদের পরও রাতারাতি ফের নির্মাণ করা হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধভাবে দোকানগুলো নির্মাণ করে ১৫-২০ লাখ টাকা সালামী নিয়ে ভাড়া দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে পৌরসভার মালিকানাধীন এসব দোকান নিজেদের দখলে নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানী ঈদের আগে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নির্দেশে জনস্বার্থে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু উচ্ছেদের ১ মাসের মধ্যে রাতারাতি পৌর মেয়রের অনুমোদনবিহীন দোকান গুলো ফের নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় মাসুদ, সাদ্দাম-ফারুক ও জিয়াউল হক যৌথভাবে দোকানগুলো নির্মাণ করে একটি করে নিজেদের দখলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সালামী নিয়ে দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে দেয়। পৌর মেয়রের নির্দেশ অমান্য করে দোকান নির্মাণের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে খোদ স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে ফারুকের সাথে একটি দোকান দখলে নেয়া সাদ্দাম বলেন, উচ্ছেদের সময় আমরা চকরিয়ায় ছিলাম। যার জন্য আমাদের অনুপস্থিতে উচ্ছেদ করা হয়। পরে পৌর মেয়রের মৌখিক অনুমতিক্রমে দিনের বেলায় দোকান নির্মাণ করা হয়।

আরেক দখলদার জিয়াউল হক বলেন, তার দোকান ৭-৮ বছর আগের। উচ্ছেদ হওয়া দোকানের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তার সব কাগজপত্র ও অনুমোদন রয়েছে। তবে মাসুদের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, উচ্ছেদের পরও দোকান নির্মাণ উদ্বেগজনক। তাদের মৌখিক বা লিখিত কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি। শীঘ্রই এসব দোকান উচ্ছেদ করে পৌরসভার আওতায় নেয়া হবে।