মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি:
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের প্রধান সকড়ে সোমবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বৃহত্তর পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লামা উপজেলায় ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণ নাটকের অন্তরালে বনফুর বিজিবি ক্যাম্প প্রত্যাহারের ষড়যন্ত্র, ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে বাদ দিয়ে ৮২ হাজার পাহাড়ি পরিবারকে আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে পুনর্বাসনে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রণীত তালিকা বাতিল ও দ্রুত রাজার সনদ বাতিল ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় বক্তারা আরো বলেন,১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুসারে প্রায় ২২০০০ উপজাতী পরিবারকে বসত ভিটা, চাষের জমি, নগদ টাকাসহ ২০ দফা প্যাকেজ কর্মসূচীর আওতায় পুর্নবাসন করা হয়। সর্বশেষ ২১টি পরিবারকে ২০০৮ সালে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায় জামতলীতে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু সন্তু লারমার নেতৃত্বে হত্যা ও নির্যাতনে উদ্বাস্তু ২৬ হাজার বাঙালি পরিবারকে এখন পর্যন্ত পুনবার্সনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় পরিবারকে পুনর্বাসনের পর এ অঞ্চলে আর কোনো আভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তু ছিলো না। এ অবস্থায় ১৬ বছরে কোথা হতে নতুন করে আরো ৮২ হাজার পরিবারের প্রায় ৪ লাখ উপজাতীয় উদ্বাস্তু পরিবার আসলো।
বক্তারা প্রণীত উদ্বাস্তু তালিকা যাচাই করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আহবান জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কাঙ্খিত জুম্মল্যান্ড বানাতে গোপনে মিয়ানমার ও ভারত থেকে উপজাতীয় পরিবারকে রাতের আধারে সীমানা পার করে আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সাজানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন দাবী আদায় না হলে অন্যতায় জেলা সদরে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালনসহ আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুমকি দিয়েছে বাঙালি এ সংগঠনটি।
নাগরিক পরিষদের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অাহবায়ক মোঃ ছৈয়দুল অামিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য বান্দরবান জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান,জেলা শাখার বঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল অামিন নিসান, নাগিরকক ছাত্র পরিষদের নেতা মোঃ রায়হানসহ সংগঠনে নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।