হালিম মোঃ জয়


গত কয়েকদিন ধরে কিছু কিছু মানুষকে নিয়ে ভাবছি । ভাবছি আমাদের বানানো সমাজ নিয়ে। ভাবছি সমাজ আর মানুষ কত ভয়ংকর হলে মুহূর্তের মধ্যে সব এলোমেলো করে দেয়। ভাবছি এরা কি আসলেই ভালো নাকি ভালো নামের মাইনে পাওয়া অভিনয় মাত্র? এরা কি সত্যিকার রূপে মানুষকে সম্মান করে নাকি সবটাই লোক দেখানো? এসব নিয়ে ভাবতে গেলে আমার খুব মাথা ধরে!

মানুষ ভাবে সে বড় কিছু হয়ে গেছে তার মানে সে অনেক পারে। আরে তুমি পা উপরে তুলে কখনোই হাঁটতে পারবে না, পা টা মাটিতে রেখেই তোমাকে হাঁটতে হবে। খুব প্রভাবশালী হলেও বা কি! এ দিন, দিন না; আরো দিন আছে।

নারী জাতি নিয়ে ভাবতে গেলে আমি খুবই অবাক হই। কত অসহায় ওরা! আমরাই কত কি বানিয়ে ফেলি ওদের! কি অদ্ভুত একটা সমাজ। কোথাও কিছু হলে সব নারীর দোষ, নারী অপয়া, নারী এটা নারী ওটা। মুহূর্তের মধ্যে একটা গল্পকে ভিন্ন গল্প বানিয়ে ফেলি। আরে নারীর ই কি সব দোষ? সমাজে বাকিরা কি বাতাসে ভেসে এসেছে! সমাজ, তোমরাই তো সত্যি গল্পটাকে ভিন্ন রূপ দাও। উত্তর দিতে গেলে নারী তুমি মা*। আরে একজন বে*রও সম্মান আছে। কারন সেও রাতের আধাঁরে কাউকে শান্ত করে। ভুলে যেও না সমাজই ধর্ম বানায়।

এবার আসি সমালোচনায়,
সমালোচনকারী মানুষগুলো বড্ড বেশি কৌতূহলী, আশে পাশে কোথায় কি হচ্ছে তা জানারর জন্য। একটা নারীকে যতোটা নিচে না নামলে উঁচু হতে পারবে না, ঠিক ততটা পায়ের নিচে ফেলে পিষে দেয়। আমার অনেক কাছের মানুষগুলোর জীবন জানোয়ার রুপি অমানুষের কারণে ধ্বংস হয়েছে । আমি ওই সমাজের মানুষ রূপি হিজড়াদের ধিক্কার জানাই যারা তাদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দেয়।।
আমি বলবো, “সমালোচনাকে গুরুত্ব দাও, কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ো না। যদি সেই সমালোচনার কোনও ভিত্তি থাকে তাহলে তার থেকে শেখার চেষ্টা করো।”

অনেক পরিবারে দেখা যায় মেয়ের প্রাপ্ত বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দেয়! তাও ছেলের পরিবার না দেখে না জেনে। আরে টাকা ,লম্বা এবং চেহারার রঙ দিয়ে সব কিছু হয়না ; মনের সুখটাই হল আসল। আবার দেখা যায় অনেক মেয়ে আবেগময় হয়ে একটা ছেলেকে নিজের জীবনে জড়িয়ে ফেলে, যে কিনা তার জীবন মুহূর্তের মধ্যে নরক বানিয়ে দেয়! এটা কি তোমরা ভাবতে পারো না নাকি বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেছে?অনেক সময় মানুষের কথাকে তোয়াক্কাই দেয় না।

একটি মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে গেলে মেয়েটির দোষ, মেয়েটা লগ্ন ভ্রষ্টা! ওর কপাল নেই। তালাকপ্রাপ্তা মেয়ের জন্য একজন তালাকপ্রাপ্ত পুরুষ! ওর কপালে যে তালাকের সীল পড়ে গেছে! কিছু হলেই সমাজের আঙ্গুলটা ওই নারীর দিকেই নাচে! আর দেখা যায় নিরীহ সাধারণ মেয়েগুলোকে মানুষের এবং সমাজের কথা শুনতে হয়। নারী তুমি হয়তো বড্ড অপরাধী..।। ইশশ, কত আফসোস আমার। আমরা এমন কেনো!

পরিশেষে বলবো, সমালোচনা বন্ধ করুন। নারীদের সঠিক মর্যাদা দিন। তার নিজের ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা দিন। সমাজে উঁচু করে চলতে দিন। তাদের কথাগুলোকে মূল্য দিন। নারীদের প্রান খুলে বাঁচতে দিন।।


সংবাদকর্মী ও প্রতিষ্ঠাতা কক্সবাজার ব্লাড ডোনেটিং ক্লাব