রহিম আব্দুর রহিম

২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১ ফ্রেবুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘এই মূহুর্তে নিবার্চন, আওয়ামীলীগের ভরাডুবি।’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিলো। প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিলো, জরিপকারীরা পাঁচটি ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে জরিপ চালিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্য, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দুর্নীতি, এমপিদের সাথে দলীয় নেতা কর্মীদের সর্ম্পক এবং এলাকার উন্নয়ন। এই জরিপে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ১২ ধরনের পেশার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে (প্রতি পেশায় ৫ জন করে ১২৫=৬০) জরিপ প্রতিবেদনটি তৈয়ার করা হয়েছিলো। ওই সময় নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ৬৯, বিএনপি ১৭০, জাতীয় পার্টি- ২৩, জামায়াত ১৪ আসনে হাড্ডা হাড্ডি লড়বে ২১ টি আসন পাবে বিজেপি। জামিয়াতে ওলামা ইসলাম ও জাগপা মিলে ৩ আসনে জয় লাভ করবে। ২০১২ থেকে ২০১৮, ব্যবধান ৭ বছরের। এখন আওয়ামীলীগের অবস্থা কি? এ ধরনের প্রশ্ন মাথায় রেখে লেখাটি তৈয়ার করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণে বলা যায়, বিএনপিকে ক্ষমতা বসানোর কোনো ইস্যু ভোটাররা পাচ্ছে না, তবে আওয়ামীলীগ হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। সাংঘর্ষিক কথায় পাঠকরা বিব্রত ফিল করছেন। করারই কথা। ১৯৭১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সরকার বদলের ইতিহাস প্রমাণ করে আওয়ামীলীগকে হারিয়ে দেওয়ার ন্যক্কর জনক ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকশন’। দেশের এন্ট্রি আওয়ামীলীগ, কখনই আওয়ামীলীগের আপন বা শুভাকাঙ্খী হবে না। একে তো এন্ট্রি আওয়ামীলীগরা কখনো গোপনে- কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো ছদ্মবেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিষকাঁটা লাগানোর চেষ্টা করছে, অহরহ দলের ভেতর ঢুকে পড়েছে সুবিধাভোগী একটি শ্রেণি। একটি সরকারের পতন ঘটাতে হলে তৃণমূলে ৪ টি জায়গায় টার্গেট করে ষড়যন্ত্রকারীরা এগুতে থাকে, প্রথম কৃষি প্রধান দেশে কৃষি পণ্যে, দ্বিতীয়টি যোগাযোগক্ষেত্রে, তৃতীয় আধুনিক উন্নয়ন (বিদ্যুৎ) ক্ষেত্রে, চতুর্থ হতাশা গ্রস্থ তরুন সমাজকে ক্ষেপিয়ে তোলার ইস্যু সৃষ্টি করা। এই চারটি ক্ষেত্র সামাল দিতে পারলে কোন সরকারের পতন ঘটার সম্ভবনা থাকে না। এই চার ক্ষেত্রের কোথায় কি অবস্থা, তা সরকার সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রামের মানুষরা আত্ম চিত্তে প্রাণ খুলে যখন বলেন, ‘ভালোই আছি গো, খাও-খাও নাই। মাদক বিরোধী সরকারের কঠোর অবস্থানও প্রশংসার দাবীদার। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা পেয়ে পরম তৃপ্তিতে হতদরিদ্র গ্রামের মানুষরা। ঢাকার পাঠাও সার্ভিসের সেবকরা তো মহা খুশি, দৈনিক আয় ১৬শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। যোগাযোগ থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪১ টি সেক্টরের উন্নয়ণ দৃশ্যমান। তাতে করে বলা যায়, সাধারণ জনমানুষ এই সরকারের প্রতি ততটা নাখোশ নয়। সারা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দানা বেঁেধছে একটি কারনে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন, মাত্র ৭শ টাকার বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ঘরে ঘরে বিদুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। সেখানে কিভাবে বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে সাধারণ খেঁটে খাওয়া হতদরিদ্র, রিক্সা ভ্যান চালক থেকে শুরু করে এতিম অসহায়দের কাছ থেকে দুই হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করেছে! বিষয়টি ভুক্তভোগীরা মনে রেখেছে, রাখছে। কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয়ে যা গুনেছে, পণ্য বিক্রিতে তা না পোষাতে না পেরে ক্ষুদ্ধ তবে একেবারেই যে ক্ষতিগ্রস্থ এমনটা নয়।

দলীয় ব্যানারে টেন্ডারবাজি, টি আর, কাবিখার পার্সেন্টের খবর আরো খারাপ, ৩০ শতাংশ থেকে ক্ষেত্র ভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নেওয়ার কেলেঙ্কারী সারা দেশে গরম তেলের মতো ভুঁদভুঁদ করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় যে সাফল্য এনেছে, তা আলোচিত হলেও জাতির মেরুদন্ড শক্ত করার গবেষণালব্ধ শিক্ষা এখনো বাংলাদেশে চালু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নাকে কান্না, আর ঘ্যান ঘ্যান মানুষ অতৃপ্ত। ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষা গ্রহণ বা প্রদান নয়, যে শিক্ষা পদ্ধতি জাতিকে ‘কর্ম ডিজিটালে’ পরিণত করবে এধরনের শিক্ষা জাতির প্রত্যাশা। সম্প্রতি বিবিএস এর শ্রম শক্তি জরিপ তথ্যে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ৮২ লাখ প্রকৃত বেকার। এর মধ্যে ২৫ লাখ বেকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। বাকীরা গ্রাজুয়েশন থেকে শুরু করে সাক্ষর জ্ঞান সর্ম্পন্ন ‘মৌসুমী বেকার’। আমাদের জানা আছে, আজকের চীনের কথা, যে দেশটি তাদের মাতৃভাষা গুছিয়ে বলতে পারত না, যারা এখনো আর্ন্তজাতিক ভাষা ইংলিশ বলতে অক্ষম। এই দেশের মানুষরা পৃথিবীর সকল প্রান্ত দখল করে রেখেছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিকিয়ে। এরা দীর্ঘ ৬৫ বছর কর্মমূখী শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে কর্মক্ষম জাতি গঠন করে শ্রেষ্ঠত্ব দখল করেছে। জাপানের একই অবস্থা। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের গত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যথেষ্ট কাজকর্ম করেছেন। আগামী নির্বাচনী ইশতেহার হয়ত করেও ফেলেছেন। নির্বাচনী ইশতেহার যদি কারিগরি বা কর্মমূখী শিক্ষা চালুর জন্য নতুন কোন প্রতিষ্ঠান নয়, সারা দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজ মাদরাসায় স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি কারিগরি শিক্ষা চালু করে চীনের মতো বাড়ি বাড়ি ফ্যাক্টরি, ঘরে ঘরে কারিগর সৃষ্টির শিক্ষা চালু করে দেশের বৃহৎ তরুন সমাজকে কর্মঠ কওে, দেশ বিদেশের বাজার দখলে আনতে পারে তবেই বাংলাদেশ অতিদ্রুত পৃথিবী ছাঁপিয়ে কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে; এতে কোন সন্দেহ নেই। নির্বাচনের আগে এই সরকারের শিক্ষকদের কিছু দাবী দাওয়া মেনে নিতেই পারেন এর মধ্যে বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতা। প্রধানমন্ত্রী দিতেও আগ্রহী তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অজ্ঞতা, অদক্ষতা, চরম অবহেলা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অহেতুক জল ঘোলা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনআই খানদের খুবই প্রয়োজন।

প্রসঙ্গে আসছি, সামনে নিবার্চন আওয়ামীলীগের ভাবনা দুই রকম, এরমধ্যে বিএনপি নির্বাচনে আসলে নমিনেশনের ধারা হবে একরকম, না আসলে নমিনেশন ধারা হবে অন্য রকম। আওয়ামীলীগের ভাবনায় যুক্তি রয়েছে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল, ‘মনোনয়ন নিয়ে ত্রিমূখী জটিলতায় আওয়ামীলীগ’ এর মধ্যে একক প্রাথী ঘোষণায় আগাম বিদ্রোহের আশঙ্কা, জোট-মহাজোটের রুপ রেখা নির্ধারনের বিলম্ব (কারন বিএনপি নির্বাচনে একধরনের, না নিলে অন্য ধরনের) বর্তমান ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের প্রত্যাশা মাফিক আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তফশীল ঘোষণা হলে, নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যতদ্রুত আওয়ামীলীগ সম্পৃক্ত ১৪ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হবে, ততদ্রুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ পূর্বক সমাধানের পথ সুগম হবে। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে আওয়ামীলীগে যে নোংরা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে করে ষড়যন্ত্রকারী শত্রুপক্ষ যে ফায়দা লুটবে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। শুভাকাঙ্খীদের প্রস্তাব, ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের পরস্পরকে বসিয়ে দিয়ে, নিজেরাই নিজেদের আসনের নমিনেশন নিশ্চিত করে একটি তালিকা নমিনেশন বোডে জমা দেবেন। অসংগতি কিংবা গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রতিকুলে থাকা প্রার্থীদের এখানে সম্পৃক্ততার প্রয়োজন নেই। নমিনেশন বোড বিচার বিশ্লেষণ করে প্রার্থী দিতে পারলে দলে যথেষ্ট শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা চাচ্ছেন কর্মঠ, সৎ, দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী, কর্মী বান্ধব প্রার্থীদের। কোন ক্রমেই যেনো দলীয় বলয়ের বাইরে ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতি লালন-পালন করছেন এমন কোন প্রার্থী (বর্তমান এমপি, মন্ত্রী, সাবেক কোন ব্যক্তি) নমিনেশন না পায়। প্রবীণ প্রার্থী থাকবেন তবে অর্থবদের যেনো নমিনেশন না দেওয়া হয় এ দাবী তৃণমূলে। অনেকেই জনপ্রিয় নেতা হওয়ার যে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তা ভুল। ইতিহাস সাক্ষ দেয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একমাত্র জনপ্রিয়, পরিস্থিতি প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় হওয়া যায়, জনপ্রিয় হয়ে আওয়ামীলীগ করতে হয় না। তবে ক্লিন ইমেজের প্রয়োজন রয়েছে। আওয়ামীলীগ বা বিএনপি প্রতিকে নৌকায় মানুষ ভোট দেন। যাকে নমিনেশন দেওয়া হবে সেই দলের জনপ্রিয় প্রার্থী হবেন।

এই সরকারের মেয়াদ যায় যায়, নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করতে হবে দ্রুত। যদি এই সরকারের আওয়ামীলীগ ঘরনার ১০ জন ক্লিন ইমেজের মন্ত্রী নিয়ে গঠিত হয়, তবে তাঁরা কারা? এমন এক প্রশ্ন নিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শুভাকাঙ্খীদের সাথে কথা বলেছি। ঘুরে ফিরে যাঁদের নাম এসেছে এরাঁ হলেন, তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমু, আনিসুল হক, মতিয়া চৈাধুরী, মাহমুদ আলী, মোজ্জামেল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আসাদুজ্জামান নুর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তারানা হালিম, শরিক দলের অন্যান দুই একজনের নাম শোনা গেছে। কয়েক ডজন মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র ১০ জন ক্লিন ইমেজের মন্ত্রী নাম পাওয়া মুস্কিল। সেখানে ৩০০ আসনের এমপিদের সমন্ধে জানতে চাইলে কি অবস্থা? অনেক এমপি রয়েছেন যাঁরা সততা, ন্যায় নিষ্ঠ কর্মে ভূঁয়শি প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। মন্ত্রীদের সাথে পাল্লা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছেন, মানুষ তাদের পছন্দও করেন। আবার অনেক এমপি রয়েছেন, যাঁদের নাম শুনলে ভিক্ষুকও বমি করেন। এমন কিছু মন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা দলীয় বলয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে, তৃণমূলে রাজনীতির নামে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি বারটা বাজিয়েছে। খেঁয়াঘাটের মাঝি থেকে ল্যাট্টিনের সুইপারদের জায়গাতেও নিজের লোকদের প্রতিষ্ঠা করেছেন। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে উদাহারণ টেনে বলা যায়, দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশের মানুষরা কবে বাংলাদেশ ব্যাংক চিনেছেন? কোন আমলে সামাজিক দায়বদ্ধতা হতদরিদ্র মাঝে চিকিৎসা সেবা, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান, ক্রীড়া কালচারে উন্নয়নে স্পন্সর প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছে? সাধারণ জনগনের দ্বারপ্রান্তে ব্যাংক সেবা পৌঁছে দিয়েছেন? উত্তর আসবে শেখ হাসিনার মনোনিত সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের আমলে। অথচ ড. আতিউর রহমান সরকার যন্ত্রে নেই। একই ভাবে অনেক কর্মঠ সরকার দরদী নিষ্ক্রিয় মানুষদের সরকার কর্মযজ্ঞের সাথে সপৃক্ত করার ভাবনা নিয়েই আওয়ামীলীগকে এগুতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব আঙ্গিনায় কথা হয়েছে, নবীন-প্রবীন শুভাকাঙ্খী দুই একজন সাংবাদিকের সাথে। আলাপের এক পর্যায়, তাঁরা জোড়ালো ভাষায় বলেছেন, একমাত্র শেখ হাসিনার মেধা, মনন, যোগ্যতা দিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাকীরা পালের গোদা। তাদের আশংকা এই সরকার ক্ষমতায় আসার পারম্ভে থেকে প্রধান মন্ত্রীর চারপাশে আইএসআই এর (আমলা) এজেন্টরা সারাক্ষণ ঘুরঘুর করে,করছে। এদের চিহ্নিত করে কাঁট-ছাঁট না করতে পারলে আওয়ামীলীগের কপালে র্দুদশা রয়েছে। গত ৩১ আগস্ট দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি শিরোনাম ছিল, ‘বিএনপি-জামাত কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক’ সংবাদ বডিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসাবে পদায়ন পাচ্ছেন বিএনপি-জামাত পন্থি কর্মকর্তারা। প্রতিবেদক পরোক্ষভাবে জেলাগুলোর নামও উল্লেখ্য করেছেন। অথচ বহাল তবিয়তে এরা এখনো রয়েছেন। তবে ইতোমধ্যে বিশটি জেলার জেলা প্রশাসক পরিবর্তনও করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগ দলের ভেতর স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষে শংকর জাতের নেতার ভীড়তো রয়েছেই। এর উপর সুকৌশলে তাদের মাঝে ঢুকে পড়েছে সুবিদাবাদী আর একটি গোষ্ঠী। যারা আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় লোভনীয় পদ-পদবী, চাকুরী-বাকুরী লুফে নিয়েছেন। কোন কোন জেলায় রাজনীতির নামে ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে অর্থ বিলিয়ে রাজনৈতিক চরিত্র-আদর্শকে ধংসের পথে ঢেলে দিয়েছে। সরকারের ভোটের মাঠে ফসল ফলেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে লাগাম ছাঁড়লে দুর্গতি নিশ্চিত। এখনও সময় আছে দ্রুত সামাল দেওয়ার, জাতির কাছে প্রমাণ করার। দুর্নীতিবাজ, অর্থব, লোভী, স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্টপোষকদের মুখ উম্মোচিত করে যদি, তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে রেখে সাধারণ জনমানুষের মন জয় করতে পারে। তবেই ভোটের ফসল উঠতে পারে, না হলে সময়ই বলে দিবে ভরাডুবি কাকে বলে।

লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, নাট্যকার ও শিশু সংগঠক

মোবাইল:- ০১৭১৪-২৫৪০৬৬।

ই-মেইল: rahimabdurrahim@hotmail.com