ডেস্ক নিউজ:
ইন্টারপোল প্রেসিডেন্ট মেং হংউইয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে আরো আগে। হংউইয়ের স্ত্রীর অভিযোগ, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ফ্রান্স থেকে নিজের দেশ চীনে ফেরার পর থেকেই তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় শনিবার একটি মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হলো, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চীনে তাকে আটক করা হয়েছে। হংউইয়ের বিরুদ্ধে চলা একটি তদন্তের অঙ্গ হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এদিন দাবি করেছে, গত সপ্তাহে চীনে নামার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারপোল প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, ইন্টারপোলের সদরদপ্তর ফ্রান্সের লিয়ঁ শহরে। ফ্রান্স থেকে চীনে আসার পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর। হংউই হলেন ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পাওয়া প্রথম চীনা নাগরিক। পাশাপাশি তিনি চীনের জন সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। তবে ঠিক কী কারণে তাকে জেরা করা হচ্ছে বা তাকে কোথায় রাখা হয়েছে, শনিবারের রিপোর্টে তার কোনো উল্লেখ মেলেনি।

ফরাসি পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছিল, ইন্টারপোল প্রেসিডেন্টের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর হংউইয়ের সন্ধান পেতে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। পাশাপাশি লিয়ঁ শহরের সদরদপ্তর থেকে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হংউইয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর তাদের কাছে এসেছে। ফ্রান্স থেকে যে রিপোর্ট সামনে আসছে, তাতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষবার দেখা মিলেছিল হংউইয়ের। তবে গোটা ঘটনায় এখনো চীনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। ইন্টারপোল প্রধানের নিখোঁজ হওয়ার ইস্যুতে নীবর চীনের বিদেশ মন্ত্রক। কোনও মন্তব্য আসেনি জন সুরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও।

হংউই চীনে আসার পর নিখোঁজ হলেও তার স্ত্রী ও সন্তানরা ফ্রান্সেই রয়েছেন। এই ঘটনায় ইন্টারপোল প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ও সন্তানদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ফরাসি পুলিশ। যাতে তাদের কোনো বিপদের মুখে পড়তে না হয়। ফরাসি তদন্তকারীদের অনুমান, কোনো বিষয় নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্ভবত কোনো বিবাদ তৈরি হয়েছিল হংউইয়ের। আর সেই কারণেই তাকে আটক হতে হয়েছে। ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে খবর।