উৎসাহ-উন্মাদনায় শেষ হলো উন্নয়ন মেলা

প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০৯:৩৩ , আপডেট: ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০৯:৪৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নাগরিক সেবায় প্রথম স্থান অধিকার করে কক্সবাজার পৌরসভা। তাকে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হচ্ছে

শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দর্শক ও সেবা প্রত্যাশীদের ব্যাপক উৎসাহ আর উন্মদনার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হলো জাতীয় ৪র্থ উন্নয়ন মেলা।  শেষ শনিবার অক্টোবর বিপুল আনন্দ ছড়িয়ে শেষ হয়েছে শহরের গোল চত্বর মাঠে আয়োজিত কক্সবাজার জেলার ভিত্তিক উন্নয়ন মেলা। রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের পর মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে উপজেলা ভিত্তিক মেলাগুলোও সমাপ্ত হয়েছে।

এবারে কক্সবাজার জেলা ভিত্তিক উন্নয়ন মেলা ব্যাপক পরিসরে আয়োজিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, দর্শক ও সেবাপ্রার্থীদের ব্যাপক সাড়া পায়। মেলার তিনদিনেই বিপুল দর্শনার্থী ও সেবা প্রার্থীদের ভরপুর ছিলো মেলা প্রাঙ্গন। দর্শনার্থীরা মেলার বিভিন্ন স্টলের সেবা ও বিনোদন উপভোগের পাশাপাশি মেলার মূল আয়োজন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেশি মাতোয়ারা ছিলেন। কারণ দেশ বরণ্য অনেক কণ্ঠশিল্পী, স্থানীয় লোকজন ও আদিবাসী শিল্পীরা তাদের সেরা পরিবেশনাটা মেলায় দিতে চেষ্টা করেছেন।

বিকালে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার শেষ দিনে শনিবারও ছুটির দিন হওয়ায় অনেক দর্শকের সমাগম ঘটে। সেবা প্রত্যাশীর চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি ছিলো। তারপরও সেবা প্রত্যাশী মোটামুটি ছিলো বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। মেলায় দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশু থেকে সব স্তরের লোকজন ছিলেন। এসব দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল দেখেন এবং শেষ দিনে মতো বিনোদন নিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টলগুলো মধ্যে বেশকিছু স্টল দর্শনার্থীদের দারুণ বিনোদন দিয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সেনাবাহিনীর স্টলটি। সেনাবাহিনীল স্টলটি ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা ছিলো দর্শকের । এছাড়া বিমান বাহিনী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ কয়েকটি স্টল অত্যন্ত দারুণ ভাবে সাজানোয় সেসব স্টলে দর্শনার্থীরা ভীড় জমিয়েছিলেন। মেলায় তিন ক্যাটাগরিতে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে

অন্যদিকে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের স্টলসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের স্টলে মোটামুটি সেবা ও তথ্য দিয়ে সহযোগিতার কথার জানা গেছে। মেলায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সব সরকারি বিভাগ, বাহিনী, সংস্থা, দপ্তর, পরিদপ্তরের স্টল তাদের সেবা কার্যক্রম তুলে ধরে।

মেলার শেষ দিনে বিকালে উন্নয়ন নিয়ে এক আলোচনা সভা জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল।

আলোচনা সভা শেষে মেলায় অংশ স্টলগুলোকে তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে নাগরিক সেবায় প্রথম স্থান হয় কক্সবাজার পৌরসভা, দ্বিতীয় হয় বিআরটিএ ও তৃতীয় হয় গণস্বাস্ত্য। স্টল সৌন্দর্য্য ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী, দ্বিতীয় হয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, তৃতীয় হয় গণপূর্ত। উন্নয়ন প্রচার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, দ্বিতীয় হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও তৃতীয় হয় ইস্টার্ন রিপাইনারী কোং। অতিথিরা সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে ক্রেস তুলে দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানান, গত (৩অক্টোবর) বৃহস্পতিবার পুরো দেশের সাথে সমন্বয় রেখে কক্সবাজারের সরকারের উন্নয়ন মেলার জমকালোভাবে শুরু হয়। মেলার শুরুর পর প্রথম দিনেই অনেক দর্শনার্থী ও সেবা প্রত্যাশীর সমাগম ঘটে। দ্বিতীয় দিন এবং গতকাল শেষ দিনেও বেশি সংখ্যক জনসমাগম ঘটে। সবাই নিজেদের কাঙ্খিত সেবা ও বিনোদন নিয়েছেন। এসময় তাদেরকে অনেক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা এতে গান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও রাখাইন ও স্থানীয় শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বেশি আনন্দ দিয়েছে। শেষে রাত পৌনে ১০টায় আতশবাজির মাধ্যমে মেলার পুর্ণাঙ্গ সমাপ্তি ঘটানো হয়।