সংবাদদাতা:
পেকুয়ায় অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন আনোয়ার হোছাইন নামের এক স্ক্রাপ লোহা ব্যবসায়ী। ব্যবসার কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে সাক্ষর আদায় ও মাদকদ্রব্য হাতে তুলে দিয়ে ছবি তুলেছেন সংঘবদ্ধ প্রতারকরা। এনিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
এদিকে শনিবার (৬অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনার সুরাহা চেয়ে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনোয়ার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের আরব শাহ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে স্ক্রাপ লোহার ব্যবসা করে আসছিলেন একই ইউনিয়নের হাজীর পাড়া এলাকার শফিউল আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন। গত ৪ অক্টোবর দুপুরে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে ফোন করেন এহছান নামের একব্যক্তি। ফোনে ওই ব্যক্তি ব্যবসায়ী আনোয়ারের সাথে কম দামে লোহা বিক্রির চুক্তি করে একই ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় নিয়ে যায়। পালাকাটা এলাকার কালামিয়ার টেক এলাকায় পৌঁছালে ব্যবসায়ীর পথরোধ করেন ব্যবসায়ীকে ডেকে নেওয়া এহছান সহ আরো ৪-৫জন ব্যক্তি। এসময় তারা ছুরি চাকু দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে নেয় ব্যবসায়ী আনোয়ারকে। পরে ব্যবসায়ীকে জিম্মি পার্শ্ববর্তী নির্জন বিলে নিয়ে সারা শরীর তল্লাশি করে নগদ টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় সংঘবদ্ধ প্রতারকরা। পরে সেখানে জিম্মি করে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০০টাকা মূল্যের নন জুড়িশিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষর আদায় ও ব্যবসায়ীর হাতে কিছু মাদকদ্রব্য (ইয়াবা বড়ি) দিয়ে ছবি তুলে নেয়া হয় তারা। যা দিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর হুমকি দেয় সংঘবদ্ধ প্রতারকরা।
এব্যাপারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসাইন বলেন, জিম্মি করে আদায় করা স্ট্যাম্প ও মাদকদ্রব্যের ছবি দিয়ে আমাকে যেকোনো সময় ফাঁসাতে পারে প্রতারকরা। তাই আমি থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছি।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে জিম্মি করে খালি স্ট্যাম্প ও মাদকদ্রব্য হাতে দিয়ে ছবি আদায়ের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।