ডেস্ক নিউজ:
☞ ১) কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন যারা নিয়েছেন, তারা ইনজেকশন-এর কোর্স শেষ হওয়ার পর ১ বছর রক্তদান করবেন না।

☞ ২) বড় অপারেশন যাদের হয়েছে তারা ১ বছর পর্যন্ত রক্তদান করবেন না। ছোট অপারেশন হলে ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান অনুচিত।

☞ ৩) কোন কারণে যদি কেউ রক্ত গ্রহণ করে থাকেন, তবে তিনিও এক বছর রক্তদান করতে পারবেন না।

☞ ৪) জন্ডিস, ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড রোগ হলে, সুস্থ হওয়ার পর আরও ৬ মাস রক্তদান করবেন না।

☞ ৫) যারা হাসপাতালে গিয়ে দাঁত ফেলেছেন, নাক বা কানে ছিদ্র করিয়েছেন, বা শরীরে উল্কি/ ট্যাটু করিয়েছেন, তারাও ৬ মাস রক্তদানে অক্ষম।

☞ ৬) গত ৬ মাসের মধ্যে যে মহিলার গর্ভপাত হয়েছে, বা যিনি বর্তমানে সন্তান- সম্ভবা, তিনিও রক্তদান করতে পারবেন না।

☞ ৭) যে মহিলার সন্তান এখনও মাতৃদুগ্ধ পান করে, তিনি রক্তদান করবেন না।

☞ ৮) যে মহিলা বর্তমানে ঋতুচক্রের মধ্যে আছেন (মাসের নির্দিষ্ট ৫/৬ দিন) তিনি রক্তদান করবেন না।

☞ ৯) যার কোন চর্মরোগ বা যৌনরোগ আছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরও ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।

☞ ১০) যে ব্যক্তি বর্তমানে কোন ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছেন, তিনি কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।

☞ ১১) যিনি গত বারো ঘণ্টার মধ্যে সুরাপান করেছেন, তিনি রক্তদান করবেন না। কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সুরাপানে বা নেশা সেবনে (Drugs) অভ্যস্ত হন, তাহলে তার কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ না করাই উচিৎ।

☞ ১২) যে ব্যক্তি একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে অভ্যস্ত, তার কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ অনুচিত। পতিতা পল্লীর লোকজন, জেলের কয়েদী বা দূরগামী ট্রাকের ড্রাইভারদের কাছ থেকে কখনোই রক্ত সংগ্রহ করতে নেই।

☞ ১৩) মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি বা মানসিক রোগীদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করা উচিৎ নয়।

☞ ১৪) একবার রক্তদান করে ৯০ দিনের মধ্যে আর রক্তদান করা অনুচিত।

উপরোক্ত নির্দেশিকার বাইরেও কিছু কিছু প্রশ্ন কা’রো থাকতেই পারে। প্রতিটি রক্তদানের সময় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। প্রশ্ন এবং সংশয়ের কথা সেই চিকিৎসকের কাছে সরাসরি জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিৎ।

ব্লাড দিয়ে অন্যকে সাহায্য করে মনের নিরাময় আনন্দ অনুভব করুন।