বার্তা পরিবেশক :
গত ৪ অক্টোবর হতে স্থানীয়-জাতীয় বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ৫ অক্টোবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত “ টেকনাফে উন্নয়ন মেলায় সরকারের উন্নয়নকে অস্বীকার করলেন সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী ” শীর্ষক বিকৃত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী ব্যক্তি বিশেষের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর মাধ্যমে বক্তব্য বিকৃত করে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা। সর্বস্তরের জনসাধারণ, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাংখীদের সদর জ্ঞাতার্থে আমার বিবৃতি প্রদান করা হল।
সারাদেশের ন্যায় গত ৪ অক্টোবর টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হলেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বেশীর ভাগ ত্যাগী নেতা-কর্মী উক্ত মেলায় দাওয়াত পায়নি। উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা নিকটস্থ স্কুল শিক্ষার্থীদের এনে অনুষ্ঠান সফল করার চেষ্টা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উক্ত সভার ডেকোরাম মেন্টেইন না করেই বর্তমান এমপির আর্শিবাদ পুষ্ট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর, উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার সাথে এমপি বদির তুলনাকারী জহির হোসেন (এমএ) কে বক্তব্য দানের সুযোগ দেওয়া হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নুরুল বশরকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হয়ে এমপিকে খুশী করার জন্য এসব করছে। এসব বিষয়ে আমি বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, বিগত সেপ্টেম্বর মাসে এমপি বদির নির্দেশে ঈদ পূর্ণমিলনীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত থাকলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার সাথে এমপি বদির জনপ্রিয়তার তুলনা করলে ইউএনও কোন ধরনের প্রতিবাদ করেনি। যার কারণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় জহির হোসেন (এমএ) কে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
উন্নয়ন মেলায় আমি সরকারের জাতীয় উন্নয়ন মেরিন ড্রাইভ সড়ক,শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ, সাবরাং ইকোনমিক জোন এবং জালিয়ার দ্বীপ টুরিষ্টজোনের কথা বলেছি। স্থানীয় উন্নয়নের জন্য এমপির বরাদ্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ হয়ে থাকে। উপজেলা পরিষদে যে কটি সংসদীয় কমিটি রয়েছে সেসব কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয় না এবং এসব কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের রাখা হয় না। ফলে স্থানীয় উন্নয়ন কার্য্যক্রম লাল ফিতার ফাইলে বন্দি হয়ে থাকে। বিগত ৯ বছরে এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের খাতে কোটি কোটি টাকা রবাদ্ধ হলেও দলীয় নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত না করায় এসব উন্নয়ন কাজ ঠিক মতো বাস্তবায়ন হয়নি। উপজেলা এসব উন্নয়ন প্রচার করেনি। উপজেলা প্রশাসন দূর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের এসব উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা হয়না। যার ফলে কর্মসৃজন প্রকল্প, একটি বাড়ি, একটি খামার, বিশেষ ভিজিএফ, ভিজিডি বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও পার্সেন্ট হিসেবে অর্ধেক চলে যায় আমলা ও নেতাদের পকেটে। বাকি অর্ধেক দিয়ে একটি স্থানে একাধিক প্রকল্প দিলেও উন্নয়নের চাপও চোখে পড়ে না। এসব উন্নয়ন কাজে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করা হলে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন আরো দৃশ্যমান হতো। এসব কথা বলায় দূর্নীতিবাজ আমলা ও কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের মাথার টনক নড়ে যায়। এখন উখিয়া-টেকনাফে হাইব্রীডদের এমনই অবস্থা যে, “ তারা সরকারী বরাদ্ধ চুরি করবে, লুটপাট করবে অথচ তাদেরকে চোর বলা যাবেনা। ”
আর এই সুযোগে বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় আমাকে প্রতিদ্বন্দি মনে করে আমার আসল বক্তব্যকে বিকৃত করে, রং লাগিয়ে হাইব্রীড নেতাদের ইন্দনে কতিপয় জামায়াত-বিএনপির আর্দশ পুষ্ট সাংবাদিকদের ব্যবহার করে অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সর্বস্তরের জনসাধারণ, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাংখীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
আলহাজ¦ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী
সাবেক সাংসদ ও সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, টেকনাফ উপজেলা শাখা।