আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার হারবাং শাহ্ সুফি দরবারের প্রধান খাদেম শাহ্ ফয়েজ আহমদ ফকির (৯২) চমেকের সিসিইউতে রয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ আবুল হাসেম শাহ জানিয়েছেন, এলাকায় একদল ভুমিদস্যু, প্রতারক, পরধনলোভি ও দখলবাজচক্র সক্রিয় রয়েছেন। এরাই মুলত পরিকল্পিত ভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের হামলায় বাবা গুরুতর আহত হন। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ২নং আসামি হাফেজ নুরুল ইসলাম আমাদের দরবারের মসজিদের ইমাম। তার বয়স ৫৫। তিনি এখনো বিয়ে করেননি বলে মুসল্লিগণ তার পিছনে নামাজ আদায় করেননা। এ ব্যাপারে বাবা তাকে চলে যেতে বলেন। একথা তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করেন ইমাম। না যেতে ফন্দি খুঁজেন। তা চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন ভিন্নভাবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খাদেম সাহেবকে বাসায় এসে একসাথে খাবার খেয়ে কথা বলতে বলেন। বিগত ৪মে’১৮ইং রাত সাড়ে ৮টায় মাজার কমপ্লেক্সকে ব্যবসা ও ভদ আকিদা পোষণ করার লক্ষে ওৎপেতে থাকেন ওইসব চক্র। আব্বাজানসহ আমরা ৪ ভাই ওখানে যাওয়ার সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দেন। হঠাৎ দেখি আব্বাজানের সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করেন। নানা অশালীন গালিগালাজ করতে করতে আমাদের সবাইকে মারা শুরু করেন। উপরোক্ত ঘটনায় চকরিয়া বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জি আর ২৪৯/২০১৮ মামলা দায়ের করা হয়। আবারো ১২মে’০১৮ইং রাত আড়াইটার দিকে ২য় ঘটনা ঘটানো হয় পরদিন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়। ১২মে’১৮ইং মামলা নং ৫৩৪ রুজু হয়।

পারিবারিক সুত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে এখনো অসুস্থ অবস্থায় আছেন সকলের প্রিয় খাদেম সাহেব। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় ১২নং ওয়ার্ডে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এদিকে গত ২০মে’১৮ইং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত সমন্বয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় এক সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনা সহ দরবারে আশেক ভক্তবৃন্দ চকরিয়া থানা রাস্তার মাথায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। উপরোক্ত ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকলে দোষিদের কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান