শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর:

সারাদেশে বেড়েই চলছে শিশু শ্রম,জীবনের তাগিদে বেছে নিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পেশাকে।যে বয়সে বই খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে অটোরিক্সা নিয়ে যাত্রীর বোঝা।অভিভাবকরা অভাবের টানে নামিয়ে দিয়েছে সড়কে। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, পতিত হয়ে মৃত্যু বরন করছে অনেকই আবার পঙ্গুত্ববরন করে আসছে যাত্রী ও পথচারীরা।লাইসেন্স নেই,অভিজ্ঞতা নেই তবু অর্থের লোভে কথিত গাড়ীর মালিকরা শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ন পেশা অটোরিক্সা।১০ থেকে ১২-১৩ বছরের শিশুদের এমন পরিস্থিতি স্বচোক্ষে দেখলে কয়েকবার মৌখিক নিষেধ করেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ৪নং ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে পের সড়কে অটোরিক্সা নিয়ে নেমে পড়ে এ শিশুরা।এদিকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা না ছাড়ায় বাধ্য হয়ে তাদের গাড়ীসহ জব্দ করা হয়।

২ অক্টোবর সকাল ৮ দিকে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার ও গাড়ীগুলো জব্দ করেন।এসময় ১০ থেকে ১২,১৩ বছর বয়সের ৮ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয় (সঙ্গত কারনের তাদের ছবি ও নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হল না)। তবে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩ জন,জালালাবাদ ইউনিয়নের ৩ জন ও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ২ জন বলে জানা গেছে। পরে তাদের অভিভাবক ও গাড়ীর মালিকদের ডেকে এনে ভবিষ্যৎতে শিশুদের হাতে অটোরিক্সা তুলে না দেওয়ার শর্তে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম বলেন,পরিবারে অভাব-অনটন থাকতে পারে, তাই বলে শিশুদের হাতে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা তুলে দিতে পারে না।অন্যন্যা পেশাও রয়েছে পরিবারের অর্থ যোগান দিতে হলে সে পেশাও নিতে পারে।তিনি আরো বলেন, শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশা থেকে সরিয়ে আনতে যা যা করতে হয় করে যাব।তারা স্কুল মুখী হলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও করা হবে।এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।