ডেস্ক নিউজ:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে দ্রুত এগিয়ে চলছে এক লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের কাজ। রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ মাসের প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে ভাসানচর রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কেন্দ্র। ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধ, বাসস্থান, সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ সড়ক ও লাইট হাউজসহ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই বাকি কাজ শেষ হওয়ার আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

নোয়াখালীর ভাসানচরের দৈর্ঘ্য ১২ কি.মি. এবং প্রস্থ ১৪ কি.মি.। এখানে ৯ মাস ধরে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন করা হবে এখানে। বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল এ চরকে। এখানে নির্মাণ করা হচ্ছে থাকার ঘর, খেলার মাঠ, পুকুর, মসজিদ, হাসপাতাল, সড়ক, লাইট হাউজ, গার্ডেন, সাইক্লোন শেল্টার ও সোলার সিস্টেম।

তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৪৪০টি টিনশেড পাকা ঘর। প্রতিটি শেডে রয়েছে ১৮টি রুম। শেডের দুই পাশে আছে বাথরুম আর কিচেন। প্রতি ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারকে দেওয়া হবে একটি রুম। প্রতি রুমে থাকছে দোতলা বিশিষ্ট দুটি বেড। মাটি থেকে ৪ ফিট উঁচুতে হচ্ছে বাসস্থান।

মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা এ চরকে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে নিরাপদ করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১৪ কি.মি. বেড়িবাঁধ এবং চারতলা বিশিষ্ট ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার।

জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, ‘ভাসানচরে পুনর্বাসিত রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এই চরকে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।