বেলাল আজাদ:
কক্সবাজারের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ভারপ্রাপ্ত মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল মানবপাচারের মিথ্যা মামলা দায়েরকারী এক বাদীর বিরুদ্ধে সরাসরি ওয়ারেন্ট ইস্যূর আদেশ দিয়েছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যূনালে দায়ের করা এক নালিশী দরখাস্ত (মানবপাচার নং-০৬/২০১৮) শুনানী শেষে বিচারক এমএইচএম মাহমুদুর রহমান মিথ্যা মানবপাচার মামলা দায়ের করে হয়রানী করার অভিযোগে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১৫ ধারায় আসামী মিথ্যা মানবপাচার মামলা দায়েরকারী শারিকা বেগমের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে সরাসরি ওয়ারেন্ট ইস্যূ করার এই আদেশ দেন।
মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১৫ ধারায় দায়ের করা বা রুজু হওয়া সমগ্র বাংলাদেশের প্রথম মামলা এটি।
মামলার বাদী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি এলাকার হাফেজ আবদুর রহিমের স্ত্রী সাজেদা বেগম (২৮)।
আসামী চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের হরিখোলা এলাকার মৃত আবদুল মন্নানের স্ত্রী শারিকা বেগম (৩০)।
মামলার আর্জি ও ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, বাদী সাজেদা বেগমের একই এলাকার জনৈক এহেছান উল্লাহর ছেলে আবুল আলা প্রকাশ জালিয়াত আবুলু (৩৫) তার স্বামী হাফেজ আবদুর রহিমের (৩৫) সাথে ব্যবসায়ীক লেনদেনে প্রতারণা সংক্রান্তে এবং দুই প্রতিবেশী মৃত নজির আহমদের ছেলে হাফেজ মুফিজুর রহমান (৪০) ও মৃত আবদুল আজীজের ছেলে বৃদ্ধ মোজাফ্ফর আহমদের (৬০) সাথে জমিজমা সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে জাল-জালিয়াত ভাবে ভূয়াঁ কাগজপত্র তৈরী করে শারিকা বেগমকে বিয়ে করার ও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে বাদী ও মিথ্যা কাহিনী সাজিঁয়ে গত ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ ট্রাইব্যূনালে (সি.পি.১০৪৯/২০১৫) মিথ্যা মানবপাচার মামলা করে।
উক্ত মামলা তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার এস.আই.ওমর ফারুক মামলায় বর্ণিত ঘটনা মিথ্যা ও মামলাটি হয়রানী মূলক মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদক দাখিল করেন এবং চলতি বছরের ২৩ মে ঐ মিথ্যা মামলায় সাজেদা বেগম, তার স্বামী হাফেজ আবদুর রহিম, ভাই মোঃ বাবর এবং দুই প্রতিবেশী হাফেজ মুফিজুর রহমান ও বৃদ্ধ মোজাফ্ফর আহমদ খালাস পান। বাদী সাজেদা বেগমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. এম.এ. বারী, এড. মোঃ নুরুল ইসলাম (নূরু) ও সুরঞ্জিত পাল প্রমূখ।