প্রেস বিজ্ঞপ্তি: 
মহেশখালীতে বিনা কারণে দলের উপজেলা অস্থায়ী কার্যালয় থেকে আটক নিরীহ আটজন নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি ও আরো অনেকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা বিএনপি। এই দাবি জানিয়ে জেলা বিএনপির পক্ষে এক প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না। জেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে এই বিবৃতি প্রেরণ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জানতে পেরেছি দলের উপজেলা অস্থায়ী কার্যালয়ে অবস্থান করা সময়ে পুলিশ বিনা উস্কাকানি এবং কোনো অভিযোগ ছাড়াই জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ বোখারীসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের আটজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সরকারের ইন্ধনে পুলিশ এই ঘটনায় কল্পকাহিনী সাজিয়ে দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ওইসব মামলায় অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে আসামী করা হয়েছে। এসব সাজানো মামলায় ১২৯ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এড. নূরুল আলম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক, যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল হক চৌধুরী, এড সালামত উল্লাহ রানা, পৌর বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর আলম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, পৌর যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ছাত্রদলের সভাপতি আরাফাত হোসেন রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীনসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ভীত হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংঠনের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে মহেশখালীতেও সরকারের উর্ধ্বতন মহলের পরিকল্পনায় আটজন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে সাজানো মামলা দিয়ে আরো ১২৯জন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে। এর উদ্দেশ্য নির্বাচনে সামিল হতে না পারতে নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করা। তাদের এলাকা ছাড়া করে তাদের নিজেদের নীলনকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা কখনো সফল হবে না।’ নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামল প্রত্যাহার ও আটককৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্তে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।