ডেস্ক নিউজ:
তীব্র ভূকম্পের পর এ বার সুনামির ধাক্কা লাগল ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরে। ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সির তরফে এই খবর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভয়াবহ ভূকম্পের পরেই সুলাওয়েসি দ্বীপে সুনামি আছড়ে পড়েছে পালু শহরে।
তার আগে শুক্রবার ইন্দোনেশিয়া কেঁপে ওঠে তীব্র ভূকম্পে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। তাতে অন্তত এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ১০ জন।
শুক্রবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। কেন্দ্রস্থল সুলাওয়েসি দ্বীপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুনামি সতর্কতা জারি করে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয় বাসিন্দাদের।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে প্রথমে জানিয়েছিল, কম্পনের মাত্রা ৭.৭। তবে পরে জানানো হয়, রিখটার স্কেলে ৭.৫ তীব্রতার কম্পন ধরা পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি জাপানেও জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠে এই দ্বীপ রাষ্ট্র। ২০০৪ সালে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প এবং তার জেরে সুনামি আছড়ে পড়ে অন্তত ১৩টি দেশে। সব দেশ মিলিয়ে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ২০ হাজার।
জাপানের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ কাগা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার ও ডেস্ট্রয়ার ইনাজুমা ভারত মহাসাগরে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধ জাহাজ এইচএমএস আরগিলের সাথে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে তাদের গন্তব্য দণি চীন সাগর।
এর আগেও যুক্তরাজ্য বিরোধপূর্ণ দণি চীন সাগরে নিজের যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে। তখন বেইজিং লন্ডনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, এমন কাজ আবার করলে প্রত্যাশিত বাণিজ্য চুক্তি থেকে বঞ্চিত হবে যুক্তরাজ্য। দণি চীন সাগরে চীনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও জাপানের দাঁড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে। কারণ ওই সমুদ্র এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়। চীনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে এশিয়ার সাথে ইউরোপের সমুদ্র পথে হওয়া বাণিজ্যের অনেকটাই চীনের মর্জির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। কাগা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারের কমান্ডার কেনজি সাহাগুচি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাথে আমাদের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক।
দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এমন মহড়ায় পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।’ তিনি মনে করেন, দুই দেশের নৌবাহিনী যত বেশি একসাথে কাজ করবে ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্ক তত শক্তিশালী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে দেশটির বামপন্থী শাসকের বিরুদ্ধে পদপে নেয়ারও অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প।
ভেনিজুয়েলা তাৎণিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং একে ‘সামরিক অভ্যুত্থানের’ উসকানি হিসেবে উল্লেখ করে। ট্রাম্পের এই হুমকি এমন এক সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর বিভিন্নভাবে চাপ বাড়িয়ে চলছে। দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে ২০ লাখ লোক আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভেনিজুয়েলায় যা হচ্ছে তা এক কথায় লজ্জাজনক।’ জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউ ইয়র্কে থাকা ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমি চাই ভেনিজুয়েলা চলমান সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসুক। আমি ভেনিজুয়েলার মানুষকে নিরাপদ দেখতে চাই। আমরা ভেনিজুয়েলাকে রা করতে চাচ্ছি।’ তিনি বলেন, কঠোর কিংবা কম কঠোর সব ধরনের পদেেপর কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে। সাধারণ পরিষদে বক্তৃতাকালে মাদুরো গত চার আগস্ট কারাকাসে সামরিক কুচকাওয়াজে ড্রোনের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আরো একবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মাদুরো আরো বলেন, মতবিরোধ সত্ত্বেও আমি ট্রাম্পের প্রতি আমার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে এবং তার সাথে বৈঠক করতে চাই। এর আগে ট্রাম্পও মাদুরোর সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।
এ দিকে আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও পেরু এই ছয়টি দেশ ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর জন্য মাদুরোর বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে চান মাদুরো
এ দিকে বিবিসি জানায়, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, পার্থক্য সত্ত্বেও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলাতে চান। আকস্মিকভাবে নিউ ইয়র্কে উড়ে গিয়ে বুধবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে সোশ্যালিস্ট এ নেতা তার এ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার ভেনিজুয়েলার ফার্স্ট লেডির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ ও একতরফা’ অ্যাখ্যা দেয়ার এক দিনের মাথায় মাদুরো ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইলেন। বুধবার সাধারণ পরিষদের মঞ্চে মাদুরো বলেন, ‘পার্থক্য সত্ত্বেও দ্বিপীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হাত নিয়ে যেতে রাজি আমি।’ লম্বা বক্তৃতায় নিজেকে ‘শ্রমিক, চালক ও জনগণের মানুষ’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেয়া ভেনিজুয়েলার এ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ‘চুম্বক নন’ যে সবাইকে ধরে রাখতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভেনিজুয়েলার এ প্রেসিডেন্ট দুই বছর ধরেই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও ভাষ্য মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর। ৫৫ বছর বয়সী সোশ্যালিস্ট নেতা মাদুরো এর আগে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যান্য দেশকে এমনভাবে আদেশ দেয়, যেন সেগুলো তার নিজস্ব সম্পত্তি।