সাইফুল ইসলাম বাবুল :
প্রকৃত সাংবাদিকের কোন দেশ কাল প্রাত্র নেই। তারা জগৎ সভার এক একজন পরীক্ষক ও নিরীক্ষক। সামাজিক অনাচার ও বৈপরিত্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, মানবতার অতন্দ্র প্রহরী সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির শেষ ভরসা। সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিকরা এসব কিছু মোকাবিলা করেই তাদের পেশার সম্মানকে অমলিন করে রাখছেন।
আজকাল পত্রিকার পাতাতেই সাংবাদিকের অপকর্মের কথা অন্য সাংবাদিক লিখে দিচ্ছেন এবং তা সংবাদ পত্রেই প্রকাশিত হচ্ছে। সর্ব মহল থেকে নিন্দাবাদ শুনতে হচ্ছে। এরপরও এদের অপকর্মের দৌরাত্ম্য কমছে না সাংবাদিকদের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত জবাবদিহি করতে হচ্ছে জনতার আদালতে। তারপরও কথা থেকেই যায়, এবং সাংবাদিকরা যেহেতু সমাজের দর্পন। তাই মানুষ চায় তারা সমাজের অন্যদের জন্যে উদাহরণ হবে। তারা অন্যায় করবে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তারা দুর্নীতি করবে না, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এ চাওয়া পাওয়ার ব্যবধানের কিছুটা হলেও কমিয়ে এনে সাংবাদিকদের ‘অপকর্মের’ জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা যায় কিনা ভেবে দেখার সময় এসেছে। ভবিষ্যতের জন্যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে, যারা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে আসবে, তাদের জন্য দায়িত্বশীলতার একটা বিহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
সংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে মানুষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এ পেশার লোকজনকে জাতির বিবেক বলে থাকেন। দেশ, জাতি নয়, বিশ্ব উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা দেশে দেশে স্বীকৃত। সাধারণ জনগণের এ মহান পেশার প্রতি প্রগাঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কারণ এ সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ন্যায় কলমের শানিত অস্ত্র একমাত্র সাংবাদিকরাই ধরে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের ঘটনা প্রবাহের সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি পত্রিকার মাধ্যমে দেশের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ও অহরহ দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমানে দেখা যায়, কোনো কোন সাংবাদিক ব্যক্তিগত ও কোন অপকর্মকারী হোতার গৃহপালিত সংবাদিক হয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায়, অহংকার কিংবা প্রলোভনের কারণে সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং কর্তব্যবোধ বিসর্জন দিচ্ছে। অর্থলোভী, স্বার্থান্বেষী, – লক্ষ্য করা যাচ্ছে এ মননশীল কর্মচর্চায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাংবাদিক মাত্রই সাধারণ মানুষের কাছে পরিণত হয়েছে এক ভীতিকর প্রাণীতে। দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের সংবাদপত্র সম্পর্কে,কিছু সাংবাদিকের কারনে মানুষের বিশ্বাস ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে।
প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতা যেন হারিয়ে গেছে ।
যে সাংবাদিকতা সত্যিকার সমাজকে পরির্বতন কিংবা বিকাশ ঘটাবে।কিন্তু এখন আর হয় না । এলাকায় কিছু সাংবাদিক নামে আছে বটে তবে নামধারী ও গৃহপালিত । এরা সমাজকে চুষে খাবার জন্য এসেছে । বাস্তবতা নিজের চিন্তা চেতনায় লিখার আগ্রহ কম । তার মানি কি অশিক্ষিত তা নয়, সবাই শিক্ষিত। এরা মানসিকভাবে সাংবাদিকতা করতে আসেনি ।
এখন শুনি সাংবাদিকতা মানে গুপ্তচর বা তথ্য বিক্রেতার এক কার্ড। জাহির করে সে এক বড় সাংবাদিক ! সরকারী অফিস গুলিতে তালিকা আছে সে এক বড় সাংবাদিক ! তালিকায় আজ ভাল সাংবাদিকদের নাম নেই । বড় কষ্ট লাগে বটে…….