নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের খাজামঞ্জিল এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ের চারজনকে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার বিকালে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে আটকের পর তাদের দন্ড দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা ঘোনা এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে মো. রফিক (২৮), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. নবী হোসেন (২৬), দক্ষিণ মহুরি পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. জামাল হোসেন (২৬) ও একই এলাকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মো. ফারুক (২৫)।
ইউএনও হাবিবুল হাসান বলেন- শহরের বৈদ্যঘোনাস্থ খাজামঞ্জিল আল আমিন একাডেমী স্কুলের পিছনে কয়েক মাস ধরে পাহাড় কাটা চলছে। বর্তমানে পাহাড় কেটে একপাশে স্থাপনাও নির্মাণ করা হয়েছে। রোববারও পাহাড় কাটা চলছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাহাড় কাটায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর ঘটনাস্থলে প্রতিজনকে এক বছর করে সাজা দেয়া হয়। এবং আটকরা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটার কথাও স্বীকার করেছে।
অভিযানে পাহাড় কাটার সরঞ্জাম একটি সাবল, বেলচা দুইটি, টিনেরটুকরি দুইটি, হাতুরি একটি, সবুজকালারের টিন দুইটি, করাত দুইটি ও একটি রাম দা জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামাল পরিবেশঅধিদপ্তরের হেফাজতে রয়েছে। উক্ত মোবাইল কোর্ট অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনকরেন পরিবেশ অধিদপ্তর ককক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল আশ্রাব।
সাইফুল আশ্রাব বলেন- পরিবেশ গত ছাড়পত্র ছাড়া সরকারি ১নং খতিয়ানের পাহাড়ে গত দুই থেকে তিনমাস ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড়ের দুই গন্ডা পরিমাণ প্রায় ১০০ ফুট উচুঁ কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া একপাশে টিনের স্থাপনাও নির্মাণ করা হয়েছে। আহমদ নবী নামে একব্যক্তি পাহাড়টি দখলে রেখে কেটে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।