১৬ সেপ্টেম্বর ‘দৈনিক আজকের কক্সবাজার’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘রাতারাতি কোটিপতি এলও অফিসের দালাল মিজান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর আগে একটি অনলাইন পত্রিকায় আরেকটি সংবাদ ছাপা হয়। সংবাদসমূহের কোন অংশই সত্য নয়। পুরো সংবাদটি কাল্পনিক ও অপরের শেখানো বুলি। আমি সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমি কক্সবাজার পৌরসভার ট্রেডলাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী, ইলিশিয়া ট্রেডিং এর পার্টনার এবং রুহি এন্টারপ্রাইজের ওয়ার্কিং পার্টনার। আমার নামে টীন সনদ ও পৌরসভা থেকে ২টি টমটমের লাইসেন্স আছে। শহরের কলাতলীর এম রহমান স্টোরের মালিক আমি। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করে আমি ব্যবসা বাণিজ্য করি। এলও অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সংশ্লিষ্ট কেউ নই। সংবাদে আমাকে একজন ‘ফটোকপি দোকানের কর্মচারী’ বলে হেয় করা হয়েছে। আমি এসএসসি সনদধারী হওয়া সত্ত্বেও সংবাদে ‘পঞ্চম শ্রেনী পাশ’ উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি স্বীকৃতির পরও এমন সংবাদ খুবই দুঃখজনক। কারো ইন্দন বা কল্পনা প্রসুত সংবাদটি ছাপানো হয়েছে। এমন উদভট সংবাদে আমি নিজেই বিব্রত।
সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে আমার আতœীয় স্বজনের অনেক জমি পড়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধায় বাধ্য হয়ে কয়েকটি ফাইল নিয়ে আমাকে এলও অফিসে যেতে হয়। বিশেষ করে ঈদগাঁও মৌজার ৭, ৯, ৫৮, ৯৮ রোয়াদাদগুলোর মালিকপক্ষ আমার একান্ত নিকটাতœীয়। রোয়াদাসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারদের সাথে কথা বলা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে দেয়া কি অপরাধ? এসব ফাইলের খোঁজখবর নিতে যাওয়া কি দালালী? প্রতিবেদকের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই। এরপরও শুধু আমাকে হেডলাইন করা রহস্যজনক মনে করি। আমার মনে হয়, ৯ নং রোয়াদাদের বিরোধী পক্ষের হয়ে সংবাদটি করা হয়েছে। কাল্পনিক এই সংবাদে কোন মহলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি এমন মানহানিকর সংবাদ থেকে বিরত থাকতে সংবাদকর্মীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

মিজানুর রহমান
পিতা- জাফর আলম
পাহাশিয়াখালী, ইসলামাবাদ, সদর, কক্সবাজার।