সাইফুল ইসলাম বাবুল,পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার ভোলাখাল ও টইটং খাল ভরাট ও দখল বেদখলের মহোৎসব চলছে। যার ফলে ব্যবসা বানিজ্যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। খাল দুটি ভরাট হওয়ার ফলে এক সময়ের ¯্রােতস্বিনী ও প্রশস্ত খাল বতর্মানে সরু হয়ে যায়। স্থানীয় জানায়, বিগত ৮/১০ বছর আগে ওই নদী দিয়ে পাশর্^বর্তী উপজেলা কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী থেকে পেকুয়া আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে বিভিন্ন পন্য বিকিকিনির জন্য আসত। বর্তমানে ওই খাল ভরাট হওয়ায় সাম্পান ও বোটগুলি আগে মত চলছে না। কালের পরিক্রমায় সাগর থেকে পলি এসে ওই খাল দুটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা খাল ও টইটং খালের উভয় দিক বেশীর ভাগ জায়গা পাউবোর অধীনে। এলাকার লোকজন পাউবোর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজস করে দখল বেদখলে মেতে উঠেছে। খাল দুটির দুই তীরে বিশাল দালান তৈরী হচ্ছে। তাছাড়া খাল দুটিতে ¯্রােত না থাকায় নদীর পলি মাটি এসে দুই দিকে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সুত্র জানায়, ওই খালের দুই তীরবর্তী জায়গায় বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা তৈরী হচ্ছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। সরকারী খাস জায়গা স্বত্তেও অনেকে অবৈধভাবে ভোগ করে চলছে। ওই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম না স্বত্তেও এক শ্রেনীর প্রভাবশালী মহল সরকারকে কোন ধরনের রাজস্ব না দিয়ে বছর বছর ভোগ করে চলছে। মগনামা বাইন্নাঘোনা এলাকার নুরুল হুদা, মিজান সাংবাদিকদের জানায়, খাল ভরাট হওয়ার কারনে বৃষ্টির পানি গুলি জমে সহসায় লোকালয়ে চলে আসে। যার ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতাসহ বন্যার আকার ধারন করে। এ দিকে এক শ্রেনীর জেলে সম্প্রদায় খালের মধ্যখানে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করে। ফলে বৃষ্টির পানি গুলি নীচে দ্রুত না নামায় জনগনের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ দিকে অনেক কৃষক অভিযোগ করেন, খাল ভরাট হওয়ায় এলাকায় দ্রুত বন্যারুপ ধারন করে। কৃষকরা সঠিক সময়য়ে চাষাবাদ করতে পারে না। এ ব্যাপারে পাউবোর কর্মকর্তা জানায়, সরকারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা করলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।