মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়ক থেকে তিন চাকার গাড়ি জব্দ করে খালে ফেলে দিলো চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিনের অভিযানে অন্তত পঁচিশটি যানবাহন খাদে ও নদীতে নিক্ষেপ করেছে। তৎমধ্যে দশটি ব্যাটারিচালিত টমটম, ছয়টি অটোরিক্সা, তিনটি ভ্যান ও ছয়টি লেগুনা গাড়ি ছিল।
কক্সবাজার সদরের কাঞ্চনমালা, নতুন অফিস, চকরিয়ার খুটাখালী, ডুলাহাজারায় এ অভিযান চলে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের এসআই জসিম উদ্দিন ও টিএসআই ছফি উল্লাহ জানায়, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ তিন চাকার গাড়ি। তাই তিন চাকার গাড়ি যাতে মহাসড়কে চালাচল করতে না পারে তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর চকরিয়া মহাসড়কে লেগুনা ও টমটমের সাথে সংঘর্ষে ২৪ ঘন্টায় ১১ জন নিহত হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনার পর মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এ অভিযানে নেমেছেন বলে জানান।
এদিকে মহাসড়কে ম্যাজিক গাড়ি না থাকায় অন্যান্য মিনি বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। এছাড়াও হাজারো অধিক সংখ্যক চালক শ্রমিক বেকারে পরিনত হয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে এলাকায় চোর ডাকাত ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করে।
পিয়ারু ফরহাদ নামের ম্যাজিক গাড়ির মালিক জানায়, চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী মহাসড়কে বিরতিহীন ভাবে চলছে টমটম ও অটোরিক্সা। হারবাং, বরইতলী, শহর মহাসড়কে অনবরত চলছে তিন চাকা ও লেগুনা যানবাহন। আইন সকল এলাকার জন্য এক হওয়া উচিত বলে মনে করেন সে। ইলিয়াস ড্রাইভার নামের এক চালক বলেন, তার ম্যাজিক গাড়িটি দু মাস ধরে ঘরে পড়ে রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ভয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে পারছে না। পরিবারের ভরনপোষণ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি খরচ বহন করতে না পারায় সন্তান-সন্ততির পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
চকরিয়া মহাসড়কের তিন চাকার গাড়ি খালে নিক্ষেপ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।